ভিডিও প্রসেসের স্টেপ বাই স্টেপ বর্ননা লিখবার চেষ্টা
০১। প্রথম স্টেপ ড্রয়িং-ড্রয়িঙ এখানে একদম ক্লিয়ার না করলেও জেশচার,
ফর্ম ইত্যাদি সব পরিষ্কার করে বুঝে নেয়া হয়েছে। ড্রয়িং এ সমস্যা থাকলে আসলে কালার
দিয়ে ম্যানেজ করা যাবে না সব কিছু। (ভিডিও দেখতে থাকলে সেটার প্রমান পাওয়া যাবে। :P)
০২। দ্বিতীয় ধাপে একটা নতুন লেয়ার নিয়ে সিলহুটে ড্রয়িং টা দেখে নেই।
সিলহুট ল্যাসো টুলে আঁকি-ব্রাশ দিয়েও একই ভাবে আঁকা সম্ভব। ল্যাসো টুল ভাল না
লাগলে ব্রাশ দিয়ে করাই ভাল-যেটায় যার সুবিধা।
০৩। এরপর সিলহুট লেয়ারের উপরে পর পর কয়েকটা লেয়ার নিলাম create
clipping mask মুডে-এতে
যেটা হবে এই লেয়ার গুলো সিলহুট লেয়ারের সাথে লক হয়ে গেল। আমি এই লেয়ার গুলিতে
বাইরে রঙ করলেও দেখা যাবে কেবল সিলহুট লেয়ারের উপরে যত টুকু রঙ আছে ততটুকুই। আমার
এখানে সব কিছু আলাদা আলাদা লেয়ারে করা-এত লেয়ার নেবার ঝামেলা না করতে চাইলে এক
লেয়ারে সব কিছু করে ফেলেন। আলাদা আলাদা লেয়ার নিলে আমার কাজের সিকোয়েন্সে ডিটেল
করতে সুবিধা হয় বলে নেয়া। এক লেয়ারেও করা সম্ভব।
০৫। আউটলাইন না দিতে চাইলে আস্তে আস্তে ফর্ম ডিফাইন করে করে এগুতে হবে
আলাদা আলাদা এলিমেন্ট গুলি থেকে। যেমন স্কিন লেয়ারে কাজ করার সময় প্রথমে হাতের
শ্যাডো, গলার শ্যাডো এগুলি ব্লক করে নেয়া হল। আবার জামার কাজের সময় জামার উপরে
নিচে অংশ আলাদা করে নেয়া হল একটা বেসিক শেড দিয়ে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। এটুকু
ঠিক ভাবে বুঝতেই অনেক সময় লাগবে। ট্রীকটা মাথায় রাখতে হবে যে একটা শেড টোন কত
ভালভাবে ব্যবহার করে ফর্মগুলো বুঝান সম্ভব। এখানে আমি আরো ডিটেলে গেছি কিন্তু যারা
প্র্যাকটিস করতে চান তারা একটা টোনেই নিজেদের আটকায় রেখে প্র্যাকটিস করেন। টোনের
সাথে সাথে প্যাটার্ন এবং টেক্সচার নিয়েও কাজ করতে পারেন। যেমন জামায় বাবল টেক্সচার
দিয়েও ফর্ম ডিফাইন করা হচ্ছে এখানে।
০৬। এরপর ডিটেইলিং। আমার প্রসেস এখানে লিখছি না কারন এটা ল্যাসো টুলের
ইউজের উপর নির্ভর করে। ব্রাশ নিয়ে যে যেভাবে ইচ্ছা করতে পারেন।
০৭। শেষ ধাপে আর একটা কাজ করি-সবার উপরে একটা লেয়ার নেই। সেটা একদম
কালো দিয়ে ফিল দিয়ে লেয়ার মোড color সেট করি। এই লেয়ার টা অন অফ করে ছবির ভ্যালু
দেখতে সাহায্য করে। সব কালার ডিটেল শেষ করার পর ড্রেসের ভ্যালু কয় এক জায়গায় মনে
হচ্ছিল স্কিন টোনের সাথে মিশে যাচ্ছে। তাই এই লেয়ার অন করে ভ্যালু ঠিক করে আবার
কালার টা চেঞ্জ করে নিলাম।
০৮। স্টাইল নির্ভর করে নিজের পছন্দের উপর। একই প্রসেসে একদম
রিয়ালিস্টিক আবার একদম টুডি স্টাইলাইজড আঁকা সম্ভব। তবে ধরন একই রকম-শুরুতে
ড্রয়িং, তারপর একটা টোন দিয়ে সব ফর্ম বুঝাবার চেষ্টা করা।
০৯। ভিডিওর মাঝে একবার কাস্টম ব্রাশ প্যাটার্ন তৈরী করে ড্রেস
প্যাটার্ন দেবার চেষ্টা করে হয়েছে। ভাল না লাগায় আবার ল্যাসো টেক্সচারে ফেরত যাই!