বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৩

রুশ রস

প্রথম আলোর সাপ্তাহিক স্যাটায়ার ম্যাগাজিন রস-আলো এর রুশরসে করা কিছু কাজ।






মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৩

ফিগার ড্রয়িং: ০২

 কুইক পোজ সাইট থেকে দেখে জেশচার এবং ফিগার ড্রয়িং। ফিগার ড্রয়িং এর আগে পুরাটা সিলহুটে ব্লক করে নিলে অনেকখানি সহজ হয়ে যায় কাজটা এটা নতুন করে আবার আবিষ্কার করছি!



বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৩

গ্রাফিক ট্যাব

আঁকা আঁকি শুরু করার পর বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন জায়গায় সব থেকে বেশি যে প্রশ্নটা শুনেছি তা হল ভাই গ্রাফিক ট্যাব কোনটা ভাল-কোনটা কিনব? আমাকে এই প্রশ্ন বেশি করার কারন বোধ হয় যে আমার সব কাজ ই মুটা মুটি ডিজিটাল। আমার আঁকা আঁকির শুরু-ই হয় শখের বশে এবং ফটোশপে। ফলে জলরং, তেল রঙ বা অন্য কোন মাধ্যমে শেখা হয়নি কখনো। ডিজিটাল আঁকিয়ে হবার কারনে আরো একটা পরিস্থিতিতে মাঝে সাঝে পড়তে হয় যে-ও আচ্ছা ফটোশপে আঁকেন। এর পরে আর কোন কথা থাকে না সাধারনত। প্রশ্নকর্তা যা বোঝার বুঝে যান আমিও যা বুঝি তাই বুঝে চলে আসি। (এই বিতর্কের শেষ নাই-তাই এ প্রসংগ না বাড়াই।)

যাই হোক এই পোস্টের উদ্দেশ্য ডিজিটাল এনালগ নিয়ে না-আমার গ্রাফিক্স ট্যাবের ইতিহাস নিয়ে। ছবি আঁকতে যখন শুরু করলাম এবং যখন ভাল লাগতে শুরু করল বিষয়টা তখন বিপুল উৎসাহে শুরু করলাম বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও দর্শন। স্পিড পেইন্টিং, কালার টিউটো, ডিজিটাল পেইন্টিং, সিজি ইত্যাদি হাবি জাবি দেখে মাথায় ঢুকল একখানা গ্রাফিক্স ট্যাবের অভাবেই আমার প্রতিভার পুর্ন বিকাশ ঘটতে পারতেছে না! (এই ধারনা অবশ্য আমার যেকোন গ্যাজেটের জন্যই প্রযোজ্য!) যেই ভাবা সেই কাজ, আইডিবি ঘুরে কিনে ফেললাম জিনিয়াসের ইজি পেন সিরিজের একখানা ট্যাব, দাম ছিল বোধ হয় ৬০০০ এর মত। এবার আর কে পায় এই মুডে আঁকা আঁকি শুরু করতে যেয়েই ঠোকর খেলাম। বিষয় কি-কিছু হচ্ছে না কেন? কি আঁকতেছি কি হইতেছে? মনিটরে তাকায় হাত নিচে রেখে কি আঁকা সম্ভব? ঘটনা কি?

এইসব ভাবতে ভাবতে এবং ট্যাবে আঁকতে যেয়ে ব্যাপক বিরক্ত হইতে হইতে আঁকা আঁকিতেই মুটা মুটি উৎসাহ হারায় ফেললাম। ট্যাব পড়ে থাকল ট্যাবের মত, আমার আঁকা আঁকি চলতে থাকল খাতায়, স্কেচ প্যাডে, রাস্তা পথে, মাঠে ঘাটে! ট্যাবের পেনের ভিতরে ব্যাটারি টাও দিব্যি পুরনো হতে হতে একদিন অ্যাসিড গলে গেল নষ্ট হয়ে। বহুত দিন পরে ট্যাবটা হাতে নিয়ে টের পেলাম তিনি বহু আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। প্রথম ট্যাব কেনা পুরাই মাঠে মারা গেল।

কী করা যায় এখন? গ্রাফিক্স ট্যাব ছাড়া তো ডিজিটালে আঁকা সম্ভব না! এই ধারনা পুরাই ১৮০ ডিগ্রি চেঞ্জ হইল মেহেদি ভাই এর কাজ কাম দেখে। কালার বিষয়টা যে প্রায় টারশিয়ারি এবং আমার গোড়ায় গলদ অর্থাৎ ড্রয়িং এই ভেজাল সেটা উপলব্ধি করলাম। ড্রয়িং চলতে থাকল এবং সাথে কালি কলমে ইংকিং, ছবি স্ক্যান করে ফটোশপে মাউস দিয়ে কি দুর্দান্ত কালার করা সম্ভব টের পাইলাম। নতুন উদ্যমে শুরু করলাম আবার আঁকা আঁকি! ল্যাসো, গ্রাডিয়েন্ট, হিউ স্যাচুরেশান-এই কয় টূলে যে তুখোড় প্রফেশনাল কালার হয় তা ব্যবহার না করলে বুঝার উপায় নেই।

চলতে লাগল মাউসে কালার, কিন্তু যাই বলি, মাউসে কালার বেশ সময় সাপেক্ষ। তাই ট্যাব কেনার ইচ্ছেটা আবার মাথা চাড়া দিল। বাজারে খুজে পেতে বের করলাম সবথেকে কমদামের একটা ট্যাব। এবারে আর আগের মত ফেলে রাখলাম না-যতটুকু পারি ততটুকুই কাজে লাগাবার চেষ্টা করলাম এবং আগের থেকে ঢের ভাল ফল পেলাম। অনেক দিন কাজ করি জিনিয়াসের এই ট্যাবটা নিয়ে। পরে এটা বিক্রি করে দিয়ে কিনি ওয়াকমের ইন্টুয়োস ৪ এবং এখনো ব্যবহার করছি এটাই।

এই বিশাল লেখার সারমর্ম তাহলে কী? সারমর্ম এটাই যে গ্রাফিক্স ট্যাব ছবি আঁকতে কাজে লাগে। প্রফেশনাল কাজ করতে গেলে ওয়াকম-ই লাগে। ওয়াকমের বাম্বু কিনেন আর ইন্টুস কিনেন, যেকোনটাতেই যথেষ্ট কাজ চালাবার মত অপশন পাবেন। ওয়াকম না কিনে জিনিয়াস কিনেন-তাতেও কোন সমস্যা নেই। জিনিয়াস দিয়ে কাজ করে চালিয়ে দিচ্ছে এমন মানুষের সংখ্যাও কম নেই। যেটাই কিনেন কেনার আগে একটু চিন্তা করে নিবেন আপনার কি কাজে ট্যাব দরকার এবং আপনি আঁকা আঁকির কোন পর্যায়ে আছেন। ডিজিটালে আঁকতে শুরু করলে ট্যাব কিনতে ইচ্ছা হবেই এবং প্রথম ট্যাব কেনার পরে আঁকা আঁকিতে হতাশা আসবেই। ট্যাবে শুরুতেই আপনার কাগজ কলমের স্কিল লেভেলে কাজ করতে পারবেন এই আশা করা ঠিক না। সময় লাগবে ধাতস্ত হতে, সেই সময়টুকু পর্যন্ত ধৈর্য ধরে আঁকা আঁকি চালিয়ে যান-খাতায় কলমে ফটোশপে, তাহলেই ট্যাব কেনা সার্থক!

বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৩

স্টোরিটেলিং

হাইপারলিংক কমিকের ধারনাটা কিছুদিন আগে শিখলাম। কমিকের স্টোরি এগুবে রিডার এর ইচ্ছানুযায়ী-বিভিন্ন অপশন থাকবে যে যেভাবে গল্পটা শেষ করে। অনেকটা ছোটবেলায় পড়া create your own adventure বই গুলার মত। তন্ময় ভাই এর সাথে বসে গল্প বানিয়ে কাজ কাম শুরু করে দিলাম। এক্সপ্রেশন আঁকা শিখতে অনেক হেল্প হচ্ছে! কিছু ছবি ব্লগে আপলোড।

* কাজটা সাদা কালোতে করে ইংকিং বুঝতেও কাজে দিল!