সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

স্কেচবুক জেশচার ড্রয়িং-কিভাবে?

স্কেচবুকিং বিষয়টা আস্তে আস্তে ফেসবুকের কল্যানে এখন বেশ জনপ্রিয়। লাইভ স্কেচবুকিং প্রতি সপ্তাহেই আয়োজন করছে ফেসবুকের কার্টুন পিপল গ্রুপ। স্কেচবুকিং এ সাধারনত জেশচার ড্রয়িং এর জন্যই আউটিং করা হয়। তবে স্কেচবুকিং মানেই জেশচার ড্রয়িং এমন না। স্কেচবুকে জেশচার এনভায়রনমেন্ট ক্যারেক্টার কালার সব ই স্টাডি চলতে পারে। আমার স্কেচবুকে সাধারনত জেশচার স্টডি এবং ক্যারেক্টার স্টাডি ই বেশি করা হয়। স্কেচবুক সেশন গুলোর শেষে সবার খাতা শেয়ারিং হয় এবং আঁকা আঁকির বিভিন্ন টিপস আদান প্রদান চলে।

কিভাবে স্কেচবুকে জেশচার স্টাডি চালান যায়-এ বিষয়টা আসলে নির্দিষ্ট কোন ছকে বা নিয়মে বাঁধা মুশকিল। এক এক জন এক এক ভাবে জেশচার কে ইন্টারপ্রেট করতে পারে এবং কোন টাকে ভুল বা শুদ্ধ বলে মতা মত দেয়া খুব কঠিন। তারপরেও অনেকে নতুন আঁকতে আসে এবং কিভাবে জেশচার স্টাডি শুরু করা যায় এটা নিয়ে প্রচুর কনফিউশন থাকে। একই সাথে যেটা আঁকছি সেটা ঠিক হচ্ছে কিনা ভুল হচ্ছে এটা নিয়েও কনফিউশন তৈরী হয়। তাই স্কেচবুক শেষে অনেকের খাতা দেখে কিছু জিনিস আমার মত করে দেখানোর চেষ্টা করি। যা যা বলি সেগুলো আসলে একদম ভুল/ শুদ্ধ এই মাপকাঠি তে না দেখে আমার নিজের জেশচার স্টাডি এর অভিজ্ঞতা বলা যেতে পারে। আমি যেভাবে দেখছি তার বাইরেও দেখার একশ রকম উপায় আছে এবং সবাইকে আমি বলব সেগুলো দেখে নিজের মত আকতে আকতে একটা স্টাইল দাঁড়া করাতে।

যাই হোক-এবার খাতা দেখে আমার বলা কমন কথা গুলো লিখে রাখি ব্লগে। এখানের দেয়া ছবি গুলো ফেসবুকে কার্টুন পিপল গ্রুপের অ্যালবাম থেকে নেওয়া। আমি কমন যে ভুলগুলো ( অথবা আমার স্টাইলের সাথে যেগুলো যায় না সেই বিষয়গুলো) নিয়ে বলি সেগুলা কিভাবে ঠিক করা যায় ( অথবা আমি যেভাবে আঁকি সেই ছকে ফেলা যায়) সেগুলি এখানে দেখাব।

১। Avoid Details:
স্কেচবুকে অনেকে খুব ডিটেলে আঁকতে শুরু করে। তবে জেশচার স্টাডি করতে গেলে ডিটেলের থেকে লক্ষ্য রাখা দরকার বড় বড় ফর্ম গুলোর দিকে। যেমন এই ছবিতে চুল শার্ট ইত্যাদির ডিটেল দেখতে যেতে পিঠের বাক এবং বডি প্রোপর্শন মিস হয়ে গেছে।

২। Avoid Extra Line:
অনেকে জেশচার ড্রয়িং এর সময় একটা লাইনে অনেক বার দাগ দেয়। এতে অনেক সময় মূল লাইন কোনটা সেটা হারিয়ে যায়। এজন্য এক লাইনে বার বার দাগ না টেনে একবারে রিদম টা ধরতে চেষ্টা করা বেটার। কয়েকবার একই জেশচার ও আঁকা যেতে পারে লাইনের উপরে দাগা দাগি না করে। এটা এভয়েড করতে পেন্সিলেও আঁকা যেতে পারে।

৩। Avoid Broken Line:

জেশচার আকতে আকতে পেন্সিল বা কলম তুলে নিলে অনেক সময় ব্রোকেন লাইন এসে পড়ে। এই ভাঙ্গা ভাঙ্গা লাইনে আকলে অনেক সময় জেশচার মিস হয়ে যায় এবং ফিগারের রিদম নষ্ট হয়ে যায়। তাই ব্রোকেন লাইন এভয়েড করা আকা ভাল জেশচার স্টাডিতে। পেন্সিল না উঠিয়ে এক টানে আকার প্র্যাকটিস করা যায়। আর একটা প্র্যাকটিস করা যায় পেন্সিলের যেখানে আমরা ধরি তার থেকে আরো উপরের দিকে পেন্সিল টা ধরা আকার চেষ্টা করা। এতে ড্রয়িং অনেক লুজ হয়।

৪। Getting Proportion Right:


জেশচার ড্র্যইং  এ অনেকের ই ফিগার প্রোপরশন মিস হয় এবং বেশির ভাগ সময় দেখা যায় পায়ের দিকটা ছোট হয়ে যায় ফিগারের। এটার জন্য দেখতে শেখা খুব জরুরী এবং বডির উপর এবং নিচের পার্টের অনুপাত, কোথা থেকে পা শুরু হচ্ছে, হাত কত দূর পর্যন্ত আসে ফিগারের এই রেশিও গুলো মাথায় রাখা দরকার। প্র্যাকটিস করতে করতে এটা হাতে এসে পড়ে।

৫। Out of the Box:
জেশচার আকতে গেলে অনেক সময় ফিগার গুলোর মধ্যে ডাইনামিজম থাকে না এবং দেখা যায় সবাইকে একটা বক্সের মধ্যে আটিয়ে ফেলা যাচ্ছে। কখনই হিউম্যান ফিগার জেশচারে একদম আয়তক্ষেত্রে আটকান যায় না।ফিগার সোজা দাঁড়িয়ে থাকলেও দেখা যায় এক পায়ে ভর দেয়ার কারনে একটা অ্যাসিমেট্রি তৈরী হয়। এগুলো খেয়াল করতে শিখলে এবং ফিগার কে ত্রিভুজের মধ্যে আটকাবার চেষ্টা করতে থাকলে ডাইনামিক অনেক পোজ চোখে পড়ে।

আমি জেশচার আকতে গেলে হেড শেপ গোল না দিয়ে একটা বেলুনের মত একে ভেতরে ডিরেকশনাল লাইন দিয়ে নেই। এই বেলুন আকলে যেটা সুবিধা হয় কোন দিকে তাকান আছে ফিগার সেটা স্পষ্ট করে বোঝান যায়। একই সাথে হাত পা এর ডিটেলে না যেয়ে সেগুলোকে রাবার টিউবের মত করে দেখলে জেশচার ধরতে সুবিধা হয়। পা অনেকে গোল গোল করে আকে যেটা আমি কখনই আকি না। পা এর ডিরেকশান বুঝতে স্ট্রেট দুইটা দাগ আকারে চিন্তা করি এবং তাদের ডিরেকশান গুলো ফলো করি জেশচারে।

আপাতত এগুলোই মাথায় আসল জেশচারের টিপস। আশা করি কাজে আসবে কারো কারো!

শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৭

দস্তাবেজ-২০






ঝাড়ু দিয়ে জড়ো করার ব্লগ পোস্ট!

ক্যারিকেচার-২০

শীত এলেই শুরু হয়ে যায় ওয়েডিং সিজন। বিয়ের সিজনে করা সিজনাল কিছু কমিশন ক্যারিকেচারের কাজ ব্লগে দিয়ে রাখি। সাথে দুই একটা বোনাস ক্যারিকেচার।














বস এর ক্যারিকেচার




উন্মাদের সবার বস আহসান হাবিব এর জন্মদিনে করা ক্যারিকেচার! কাজটা করার সময় অনেক গুলো স্টেপে সেভ করে রাখছিলাম যাতে ধাপে ধাপে কাজটা দেখান যায়।

স্টিল লাইফ


অনেক দিন ধরে মেহেদি ভাই এর সাজেস্ট করা একটা বই পড়ব পড়ব করে পড়া হচ্ছিল না। কদিন আগে কানাডা থেকে আমার এক ফ্রেন্ডের আসার কথা জেনে ভাবলাম বই টা হার্ড কপি এনে পড়ে ফেলি। এবং আনার পরে বইটা পড়ে মনে হল পুরোপুরি পয়সা উসুল! বইটার নাম বলে রাখি- জেমস গর্নি এর Color and Light. ডাইনোটোপিয়ার আর্টিস্ট এই বইতে আসলে কালার কখন কিভাবে কেন কেমন দেখায় এগুলোই বুঝানোর চেষ্টা করেছেন তার বিভিন্ন লাইভ স্টাডি বা স্টূডিও ওয়ার্কের রেফারেন্স টেনে। বই পড়ে অনেক কিছুই বুঝিনি ( আরো দুই বার পড়তে হবে) কিন্তু একটা আইডিয়া ভাল লাগল সেটা হচ্ছে কালার গামুট। সোজা ভাষায় এটা হচ্ছে গোটা কালার হুইলের একটা ছোট অংশ বেছে নেওয়া এবং সেই ছোট অংশ এর ভ্যালু, কমপ্লিমেন্ট, মিক্স, ম্যাচ করে ওয়ার্ম কুল নিউট্রাল ভ্যালু বের করা। এরপর সেই কালার প্যলেট নিয়ে স্টাডি। এটা প্র্যাকটিসের জন্য টুকটাক কিছু স্টিল লাইফ স্টাডি করলাম। সেগুলি এবার ব্লগে।

জল রঙ

জল রঙ নিয়ে অনেক আগে থেকেই আগ্রহ। সব সময়ই এই মাধ্যম টাকে এমন একটা কাজ মনে হয়েছে যেটা কোন ভাবেই ডিজিটালে করা সম্ভব না। কিন্তু ডিজিটাল দিয়েই আঁকার শুরু হওয়ায় জলরং এ কখনো হাতেখড়ি হয়নি। ফেসবুকে তাই যখন খোজ পেলাম প্রসূন এবং মানিক দা জলরং এর ওয়ার্কশপ করাবেন সাথে সাথে রেজিস্টার করে ফেললাম। ওয়ার্কশপ চলল এক মাস-স্টিল লাইফ, ল্যান্ডস্কেপ, লাইভ স্টাডি, স্টূডিও স্টাডি চলল। তুলি রঙ পানি বিষয়ে বকলম আমি আস্তে আস্তে জলরং ধরতে শুরু করলাম। ওয়ার্কশপ শেষে একদিন আউটডোরে যেয়েও দেখলাম কিভাবে লাইভে দারুন ওয়াটার কালার করে যাচ্ছে সবাই।

তবে ওয়াটার কালারে শেষ কথা হল প্র্যাকটিস। এজন্য টুক টাক কাজ করার চেষ্টা করছি ওয়াটার কালারে প্রতিদিন। এখনো এক্সপেরিমেন্ট চলছে নানান রকমের-রং নিয়ে, কাগজ নিয়ে, পেন্সিল ওয়ার্ক নিয়ে। কিছু ব্লগে দিয়ে রাখি।