মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬

ফ্যান ফিক কমিক-০৫

পঞ্চম এবং শেষ পর্ব-আয়নাবাজি এর গল্প থেকে ইন্সপায়ার্ড ফ্যান ফিক কমিক!





রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৬

ফ্যান ফিক কমিক-০৪


চতুর্থ পর্ব-আয়নাবাজি এর গল্প থেকে ইন্সপায়ার্ড ফ্যান ফিক কমিক!







শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

লাইভ স্কেচবুকিং নিয়মাবলি

লাইভ স্কেচ করার প্রথম রুল হল লাইভ স্কেচ করার কোন রুল নেই।

( এই লাইনটা শুধু নাটকিয়তা বাড়ানোর জন্য!)

তবে আসলেই লাইভ স্কেচিং এর কোন রুল নেই-একটা নির্দিষ্ট স্টাইলেই করতে হয় স্কেচবুক এমন কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই। তবে স্কেচবুক করার সময় কেন করছি সেটা মাথায় রাখলে পরে স্কেচবুক কাজে লাগান যায়।

স্কেচবুক করার কারন থাকতে পারে-
১। জেশচার ড্রয়িং-মানুষ জন, পশু পাখি, হাঁটাচলা, সেলফি তোলা ইত্যাদি ইত্যাদি
২। এনভায়রনমেন্ট ড্রয়িং-বাড়িঘর, গাছ পালা, রাস্তা ঘাট, ডাস্টবিন, ল্যাম্প ইত্যাদি ইত্যাদি
৩। টেক্সচার ড্রয়িং-গাছের পাতা, ফুটপাতের প্যাটার্ন, দেয়ালের ডিজাইন, বিল্ডিং এর জানালা ইত্যাদি ইত্যাদি
৪। স্টাইল-মানুষ জনের ফর্ম, শার্টের কাট, কামিজের ডিজাইন, মাফলারের স্টাইল ইত্যাদি ইত্যাদি

এবং আরো হাজার রকম কারন।

যে কারনে স্কেচবুক করছি সেটা ঠিক করে নিলে সেইখানে ফোকাস করে আঁকা যায়। শুরুর দিকে এটা কাজে দেয় অনেক কারন তা না হলে অনেক লেয়ার কাজ মাথার মধ্যে একসাথে কাজ করতে থাকে যেটা লুজ ড্রয়িং কে আটকে ফেলে। জেশচার আকতে যেয়ে জামার ভাজ, হাতের সিগারেট, পায়ের স্যান্ডেল, ল্যাম্পপোস্টের আলো, ফলের দোকানদারের ভ্যান ইত্যাদি ইত্যদিতে ফোকাস করলে লুজ জেশচার ধরতে সমস্যা হয়। অনেক আঁকতে আঁকতে প্র্যাকটিস হবার পর সব লেয়ার একসাথে মাথায় নিয়ে স্কেচবুকেই কমপ্লিট ড্রয়িং এর মত কাজ করা যায় তবে সেটা অনেক দিক স্কেচবুক করার পরে।

যারা স্কেচবুক শুরু করছেন তাদের জন্য সব থেকে কাজে দিবে জেশচার ড্রয়িং-এবং সাথে ছোট ছোট এনভায়রনমেন্ট স্টাডি। লাইভ জেশচার ড্রয়িং এ যেটা মাথায় রাখতে হবে-

১। দুনিয়ায় কেউ কারো জন্য অপেক্ষা করে না-(নাটকিয়তা) রাস্তায় লোকজন ছুটা ছুটি এর মধ্যেই থাকবে। তার মধ্যে জেশচার আঁকতে হলে যত দ্রুত পারা যায় আঁকতে হবে। এজন্য ডিটেল বাদ দিতে হবে।

২। জামার ভাঁজ, প্যান্টের ভাঁজ, ব্যাগের স্ট্র্যাপ ইত্যাদি ইত্যাদিতে ফোকাস না  করা।

৩। ডিটেল ছাড়া জেশচার আকার জন্য চোখ মুখ নাক কান বাদ দিয়ে মাথা এর জন্য জাস্ট একটা
লাইন বা গোল ফর্ম মাথা যেই ডিরেকশানে থাকবে সেই ডিরেকশানে দেয়া যেতে পারে।

৪। হাত পা জুতা মোজা না এঁকে হাতের ফ্লো বা ডিরেকশান ধরা এবং পা এর ডিরেকশান ধরা।

৫। হাতের আঙ্গুল তালু এগুল না এঁকে পুরো হাত (কাঁধ থেকে আঙ্গুলের ডগা পর্যন্ত) জিনিসটাকে একটা টিউবের মত ভেবে আঁকা।

আমার স্কেচবুক থেকে কিছু প্র্যাকটিস!




বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৬

ফ্যান ফিক কমিক-০৩

তৃতীয় পর্ব-আয়নাবাজি এর গল্প থেকে ইন্সপায়ার্ড ফ্যান ফিক কমিক!




বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬

ফ্যান ফিক কমিক-০২

দ্বিতীয় পর্ব-আয়নাবাজি এর গল্প থেকে ইন্সপায়ার্ড ফ্যান ফিক কমিক!



মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬

ফ্যান ফিক কমিক

গ্রাফিক নভেল বা কমিক করার একটা বড় চ্যালেঞ্জ স্টাইল ফিক্স করা। অনেক ডিটেল কিছু করব ভেবে ভেবে অনেক কাজ শেষ মেষ শুরুই করা হয়নি। আবার অনেক সময় দেখা গেছে এক দুই পেজ করার পর কাজটা আর সময়ের অভাবে এগোতে পারিনি। আসলে একটা কমিক এক হাতে নামান অনেক সময় সাপেক্ষ একটা কাজ। কমিকে স্টোরিবোর্ডিং, পেন্সিলিং, ইঙ্কিং, ডায়লগ সেটিং, কালারিং ইত্যাদি ইত্যাদি করে এক একটা পেজ নামান অনেক সময়ের ব্যাপার। এজন্য দেখা যায় গ্রাফিক নভেলে গল্প যেভাবে বলতে চাই অনেক সময় ড্রয়িং এর সময়ের জন্য কম্প্রোমাইজ করতে হয়। অথবা ড্রয়িং শেষ করতে পারব না এই ভয়ে শুরুই করা হয়না। অথবা পুরো বই তে এক স্টাইলে থাকা হয় না-খুব ডিটেলে শুরু করে শেষের দিকে সেই জোশ আর ধরে রাখতে পারি না।

এই সব ভাবনা থেকে গল্প নিজের মত করে বলার চেষ্টায় দুঃখী রাজকন্যার গল্প নামে একটা ছোট গ্রাফিক নভেল করেছিলাম। ড্রয়িং কেমন হচ্ছে এই চিন্তা বাদ দিয়ে গল্পটা কিভাবে বললে কত গুলো ফ্রেমে বললে নিজের কাছে ভাল লাগে সেটার একটা চেষ্টা চালাই। ল্যাসো দিয়ে আঁকার রাফ স্টাইলটা ওখান থেকে ডেভেলপ করি। এরপর স্টাইল টা আর এক্সপ্লোর করা হয় নাই তেমন কমিক বুকে।

কিছু দিন আগে থেকে একটা বড় আকারের গ্রাফিক নভেল নিয়ে কাজ করার প্ল্যান করছি। প্ল্যানিং এর শুরুতে আবার এসে আটকাই স্টাইলে। বাইরের অনেক গ্রাফিক নভেল দেখেছি সিম্পল সাদা কালো টোনে দারুন ভাবে আঁকা। আঁকার ধরন দেখলেই মনে হয় কোন রকম চিন্তা ছাড়া অনেক এঞ্জয় করে আঁকা। কিন্ত আমি পেন টুল ইংকিং এ আসলেই আটকে যাই-চিন্তা ভাবনা ছাড়া আকতে পারি স্কেচবুকিং এ-ল্যাসোটুল দিয়ে। কিন্ত আমার ল্যাসো টুল দিয়ে রাফ আঁকা তো দেখি না কারো গ্রাফিক নভেলে। তাই মনে মনে একটা ভয় লাগে-এভাবে আঁকলে আসলেই কি হচ্ছে কিছু? এটা কি রিডেবল একটা স্টাইল? এইভাবে সিরিয়াস গল্প কি করা সম্ভব?

এসব সাত পাচ ভাবতে ভাবতে আইডিয়া গুলোতে মরচে ধরতে থাকে। তাই ভাবলাম যা থাকে কপালে-নামায় দেই! পরের টা পরে দেখা যাবে।

স্টাইল টেস্ট করার জন্য একটা ফ্যান ফিক স্টোরি ছিল মাথায়-সেটাকে সাজিয়ে লিখে ফেলে পেজ ডিস্ট্রিবিউশান করে ল্যাসো টুলে শুরু করে দিলাম আঁকা। টিজার দুই পেজ ব্লগে! আশা করি শীঘ্রই বড় নভেল টায় হাত দিতে পারব।



রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬

কন্সট্রাকশন-লাইট-শেড

অনেক অনেক অনেক দিন পর ব্লগে লিখতে বসলাম! অনেক দিন পর ব্লগে ঢুকে কেমন ফাঁকা ফাঁকা দেখাচ্ছে। যাই হোক-নানা চড়াই উতরাই এর মধ্য দিয়ে ২০১৬ শেষের পথে প্রায় এবং জানুয়ারির পর এই নভেম্বরে আবার ব্লগর ব্লগর করতে বসা হল! বছরের ঘটনা দুর্ঘটনা পরে বলা যাবে-আজকে পোস্ট লিখতে বসলাম একটা টিউটো পোস্ট হিসাবে।

আঁকান্তিসে রোমেলের একটা আঁকা দেখে কিছু চিন্তা মাথায় আসল সেগুলাই শেয়ার করা। একটা একটা করে আসি। প্রথমে পোস্ট করা ছবিটা দেই।

ছবিতে প্রথমে যেটা চোখে লাগে সেটা হাতের কন্সট্রাকশোন-এবং লাইট সোর্সের দিকে শ্যাডো। কালার প্যালেট খুবই মজার-তাই নিজে কালার প্যালেটটা টেস্ট এবং কিছু বিষয় সহজ করে বুঝে নেবার জন্য টিউটো পোস্ট করতে বসলাম।


প্রথমে কন্সট্রাকশন টা নিজের কাছে বুঝে নিতে হবে। কন্সট্রাকশনে বল সিলিন্ডার ইত্যাদি ইত্যাদি এর সাথে প্লেন শিফট কোথায় হচ্ছে সেটা মাথায় রাখতে হবে। লাইট প্লেন এর শিফট যেখানে হবে সেখানে সব থেকে উজ্জ্বল দেখাবে।

এরপর কন্সট্রাকশনের উপরে লাইন ড্রয়িং বা পেইন্টিং যেটাই করতে চাই সেটা শুরু করি। ফ্ল্যাট কালার ব্লক করে নিলাম।

হিউ ভ্যারিয়েশান-মানে ফ্ল্যাট কালারের মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় অন্য কালারের ব্লেন্ড নিয়ে আসা। এটার সাথে লাইট শেডের কিনতু সম্পর্ক নেই। স্কিন এর কিছু জায়গায় রেডিশ কালার থাকে-কোথাও ডিস্যাচুরেটেড কালার থাকে। এগুলা দিয়ে ফর্মেও ডেফিনেশান আনা সম্ভব।

এরপর একটা লাইট সোর্স ধরে নিয়ে লাইট আর শ্যাডো ফেলা। এখানে শেড দিয়ে মুখ এবং গলার মধ্যে পার্থক্য করা হল। তারপরে ডান হাতকে ফিগার থেকে আলাদা করে নিলাম। হাইলাইট গুলো ফেললাম প্লেন শিফট ফলো করে।
শেষ ধাপে একটা ব্যাকলাইট নিলাম সেকেন্ডারি লাইট সোর্স হিসাবে। এই ব্যাকলাইটটা অনেক সাহায্য করবে ছবির বাম পাশের ফর্ম গুলাকে আরো পরিষ্কার ভাবে বুঝাতে। পুরা ছবিটা কুল কালারে থাকায় ব্যাকলাইট হিসাবে একটা "গরম" হলুদ কালার দিয়ে দিলাম।
এই ছিল টিউটো পোস্ট! ব্লগে আবার রেগুলার হওয়ার চেষ্টা করব-এখন এ পর্যন্তই!