মঙ্গলবার, ২ অক্টোবর, ২০১৮

অনলাইন ক্লাশ-৭,৮

অনলাইন ক্লাশ সিরিজের সপ্তম এবং অষ্টম পর্বঃ

নানান কাজের চাপে অনলাইন ক্লাস সিরিজের ৬ আর ৭ নম্বর পর্বের কাজ গুলো ব্লগে দেয়া হয়নি। একসাথে দুইটাই এবার লিখে রাখছি।

৭ম সপ্তাহঃ

এই সপ্তাহে টপিক ছিল টেক্সচার। কী নোটস গুলো লিখে রাখি এখানে।

০১। টেক্সচার হিসাবে বড় সাইজের ব্রাশ স্ট্রোক বা প্যাটার্ন ব্যবহার করা। টেক্সচার দিয়ে তারপরে রেগুলার পেইন্টিং ব্রাশ দিয়ে সেটাকে ফর্মের সাথে মিলাতে হয়।

০২। টেক্সচার হিসাবে ফটো বা অন্যান্য রেফারেন্স ব্যবহার করলে সেটার লেয়ার মুড সেটিং আর অপাসিটি সেটিং নিয়ে কাজ করে টেক্সচারটাকে ছবির সাথে মিলাতে হবে।

০৩। টেক্সচার ব্যবহারের সময় ছবির ডেপথ আর ফর্মের ডেপথ মাথায় রাখতে হবে। ফোর গ্রাউন্ড ব্যাকগ্রাউন্ডে একই টেস্কচার ব্যবহার করলে ডেপথ হারিয়ে যায়।

০৪। পার্স্পেক্টিভ গ্রিড ব্যবহার করে গ্রাউন্ডে টেক্সচার ডিসটর্ট করে পার্সপেক্টিভের সাথে মিলিয়ে বসান যায়।

০৫। ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইনে লেয়ারিং খুব ইম্পর্টেন্ট। কোন রেফারেন্স দেখে আকলেও সেখানে এলিমেন্টের লেয়ারিং বুঝে নিজের মত ইন্টারপ্রেট করে আকান উচিত। 

এসাইনমেন্টঃ



৮ম সপ্তাহঃ

এই সপ্তাহে মুলত লেকচার টপিক তেমন কিছু ছিল না। আগের সব লেসন একসাথে নিয়ে কিভাবে কমপ্লিট কাজ করা যায় তার উপরে একটা ডেমো।

এসাইনমেন্টঃ


এবং এখানে কোর্সের সমাপ্তি! বেশ কিছু নতুন জিনিস শিখেছি-আর একটা যেটা কাজে আসছে সেটা হল বাইরের অসাধারন ব্যাকগ্রাউন্ড আর্ট গুলার প্রসেস আর ডিজাইন ফিলোসফি সম্পর্কে জানতে পারা। এখন এগুলো মাথায় রেখে নিয়মিত প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে হবে!

শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

অনলাইন ক্লাশ-৬

অনলাইন ক্লাশ সিরিজের ষষ্ঠ পর্বঃ

৬ষ্ঠ সপ্তাহঃ

এই সপ্তাহে টপিক ছিল লাইটিং। কোন সিন কিভাবে লাইট করতে হয় তার উপরে কিছু জেনারেল টিপস। কী পয়েন্টস এখানে লিখে রাখি।

০১। কোন সিনে কী ধরনের লাইটিং ব্যবহার করব তার অনেক অংশেই নির্ভর করবে সিনে কি দেখাতে চাই তার উপরে। কোথায় ফোকাস করতে চাই তার উপর বেস করে লাইটিং সিনারিও চেঞ্জ করতেও হবে।

০২। একই সিন বেশ কিছু সেটিং এ লাইট করার প্র্যাকটিস খুব কাজে দেয়। একেবারে ড্রাস্টিকালি মুড চেঞ্জ করা সম্ভব লাইটিং চেঞ্জ করে।

০৩। হার্ড লাইট আর সফট লাইট ইন্ডিকেট করা যায় শ্যাডো এজ দিয়ে। শ্যাডো এজ সফটার মানে লাইট ডিফিউসড-আর হার্ড হলে লাইট হার্ড। ওভারকাস্ট লাইট আর কড়া সুর্যের আলো বুঝাতে এই পার্থক্য করাটা কাজে দিবে।

০৪। ডিফিউজড লাইটে সাধারনত কোন কড়া শ্যাডো পড়ে না। খালি ফর্মের পার্থক্য বুঝাতে অক্লুশান শ্যাডো টাই দেখা যায়।

০৫। দিনের কোন সময়ের লাইট বা বছরে কোন ঋতু এর সময়ের ছবি তার উপরে লাইটিং ভ্যারি করে।

০৬। কিছু ইন্টারেস্টিং লাইটিং স্কিমঃ

- ফোরগ্রাউন্ডে হার্ড লাইট-ব্যাক গ্রাউন্ডে ডিফিউজড লাইট।
- এরিয়াল লাইট ব্যবহার করা-যেমন নাইট সিনে ছোট ছোট হারিকেন আলো-বাসার সামনে চাইনিজ ল্যাম্পের আলো-এগুলো সফট এজ তৈরী করে লাইটের।
-সিনে একদম ডাইনামিক ভাবে লাইট প্যাচ যোগ করা। ভোর বেলায় পাতার ফাক দিয়ে বা গুহা মুখের সামনে এ ধরনের লাইট রে দেখা যায়। আমাদের খাগড়াছড়িতে আলুটিলা গুহা দেখে বের হলে এমন একটা লাইট আসে।
-ফোরগ্রাউন্ডে ডার্ক আর ব্যাকগ্রাউন্ডে কোথাও থেকে আলো আসছে-লাইট এট দা এন্ড অফ টানেল এমন সিনারিও।
- বিকাল বা সন্ধ্যার আলো-এই আলোতে একটা হলুদ ব্যাপার থাকে-একই সাথে এংগেলে পড়ার কারনে ডাইনামিক শ্যাডো পাওয়া যায়।



এ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ছিল তিনটা সিন নিয়ে প্রতিটা তিনভাবে লাইটিং করা।

বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮

অনলাইন ক্লাশ-৫

অনলাইন ক্লাশ সিরিজের পঞ্চম পর্বঃ

৫ম সপ্তাহঃ

স্কেচ, ভ্যালু এর পর কালার নিয়ে প্রথম সপ্তাহ। কালারের কিছু টিপস পেলাম যেগুলা আসলে এই অল্প সময়ে এখনো হাতে এসে পারেনি। সামনে এগুলো নিয়ে আরো এক্সপেরিমেন্ট করলে বুঝতে পারব।

কী পয়েন্ট গুলো লিখে রাখিঃ

০১। আমরা ফটোশপে কালার করার সময় সাধারনত H-S-B স্লাইডার ব্যবহার করি। আর একটা স্লাইডার আছে পাশেই L-A-B স্লাইডার। এই স্লাইডারের A মুডে দিয়ে কালার পিক করতে গেলে যেটা মজার জিনিস পাওয়া যায় সেটা হল-সিলেক্টেড কালারের ডানে গেলে ঐ কালারের ওয়ার্ম শেড আর বামে কুলার শেড পাওয়া যায়। এটা একটা মজার জিনিস যেটা ওয়ার্ম কুল শ্যাডো বা হাইলাইট কালার চিনতে কাজে দিবে।

০২। Adobe Kuler প্লাগ ইন দিয়ে অনেক কুইক কিছু রাফ কালার স্কিম পাওয়া সম্ভব। এটা এখন অবশ্য প্লাগ ইন আকারে আর নেই-color. adobe ওয়েবসাইটে দেখা যায়।

০৩। কালার করার আগে একটা কালার প্যালেট বানান এবং নিজেকে প্যালেটে রেস্ট্রিক্ট করা। প্যালেট কালার বানাবার সময় এখানেও ৮০-২০ রুল ফলো করা যেতে পারে যেখানে ৮০% এক ধরনের কালার এবং ২০%  ভিন্ন যাতে সেটা পপ করে ছবিতে। আরো একটা জিনিস করা যায় একদম অড একটা কালার আনা যেটা পুরো প্যালেট থেকে স্ট্যান্ড আউট করবে। কোন ছোট সাবজেক্ট কে আলাদা করতে এটা আনা যেতে পারে।

০৪। ওয়ার্ম হাইলাইট বা কুলার হাইলাইট দুইটার ই ইন্টেনসিটি বাড়াবার জন্য পাশে স্যাচুরেটেড ওয়ার্ম বা কুল কালারের একটা রিং তৈরী হয়।

০৫। এনভায়রন্মেন্ট কালার সব সময় ছবিতে ব্লিড ইন করবে। পাশে আকাশ থাকলে শ্যাডো তে কুল কালার ঢুকে পড়বে। হাইলাইট থাকলে ওয়ার্ম কালার ঢুকে পড়বে সিলুয়েট শেপের ভেতর। 

০৬। কালার প্যালেটের সময় নিজেকে রেসট্রিক্ট না করা-গোলাপি আকাশ, লাল মাটি, হলুদ পাতা যাচ্ছেতাই অনেক রকম ভ্যারিয়েশান কালার নিয়ে প্যালেটে জাজ করা কোনটা কাজ করছে কোনটা করছে না।

০৭। যেকোন কালার পিক করে সেটাকে একটা কিউবের তিন সাইডের কালারে ভাবা-একটা দারুন এক্সারসাইজ কালার বুঝার জন্য। যদি কিউবে শ্যাডো হাইলাইট কালার দেখে থ্রিডি ফর্ম বুঝা যায় তাহলে সেটা ছবিতে এপ্লাই করলেও মানাবে।

এ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ছিল ৬ টা কালার স্টাডি প্যালেট ডেভেলপ করে।







অনলাইন ক্লাশ-৪

অনলাইন ক্লাশ সিরিজের চতুর্থ পর্বঃ

৪র্থ সপ্তাহঃ

এ সপ্তাহে ক্লাস ছিল ভ্যালু পেইন্টিং এর উপরে। ভ্যালু এর সম্পর্কে প্রথম পর্বে বেশ কিছু লিখেছি। এখানে নতুন যে কী পয়েন্ট গুলো বুঝলাম সেগুলো লিখে রাখি।

০১। ভ্যালু পেইন্টিং এ শুরু থেকে নিজেকে একটা লো ভ্যালু রেঞ্জে রেস্ট্রিক্ট রাখা জরুরী। ছবি এর ম্যাক্সিমাম কাজ ২০-৮০ এই ভ্যালু এর মধ্যে করে ফেলা সম্ভব। তারপরে একদম শেষে রেখে দেয়া উচিত সব থেকে ডার্ক আর সব থেকে ব্রাইট ভ্যালু। 

০২। ছবিতে টেক্সচার আনতে যেয়ে নয়েজ যেন চলে না আসে। যেকোন কিছু পেইন্টিং এ এপ্লাই করার আগে ভাবা দরকার কম্পোজিশনে এটার ভুমিকা কী এবং যদি সেটা দরকার না হয় তাহলে যত রেন্ডার করতেই ইচ্ছা করুক সেটাকে এভয়েড করা।

০৩। এক্সট্রিম লাইট সাধারনত ভিউয়ার কে আমরা যেদিকে লিড করতে চাই সেখানে এপ্লাই করা ভাল।

০৪। থাম্বনেইল পেইন্টিং এ হার্ড ব্রাশ ব্যবহার করে চেষ্টা করতে হবে যত বড় শেপে কম্পোজিশোন লক করা যায়।

এ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ছিল আগের ৬ টা থাম্বনেইলের ভ্যালু পেইন্টিং এবং একই সাথে নতুন ৩ টা ভ্যালু থাম্বনেইল নিজের ইচ্ছা মত।




অনলাইন ক্লাশ-৩

অনলাইন ক্লাশ সিরিজের তৃতীয় পর্বঃ

৩য় সপ্তাহঃ

এ সপ্তাহের ক্লাস ছিল ফর্ম ল্যাংগুয়েজ। যেকোন এনভায়রনমেন্ট বা এলিমেন্ট বা ক্যারেক্টার ডিজাইনে প্রথম স্টেপ ফর্ম ল্যাংগুয়েজ নিয়ে স্টাডি। এটা সিলুয়েটে হতে পারে-হতে পারে লাইন আর্টে-এমন কি ছোট কালার স্টাডি তেও হতে। তবে সব গুলোতেই ওভার অল ফর্ম এবং তার ভ্যারিয়েশন নিয়ে ভাবতে হবে।

এ সপ্তাহের কী পয়েন্টঃ

০১। ফর্মের ভ্যারিয়েশনের জন্য কালচার, ভিজুয়াল লাইব্রেরি, গ্রাফিকাল শেপ এগুলো নিয়ে প্রথমে রেফারেন্স ঘাটতে হবে।

০২। ফর্মের সাথে এডিটিভ, সাবট্রাকটিভ, মাল্টিপ্লিকেটিভ বা ডিভাইসিভ যেকোন ভাবে ভ্যারিয়েশান আনা সম্ভব। এর মানে হল একটা ফর্মের সাথে আর সেম ফর্মকে জোড়া লাগান-সেখান থেকে কিছু বাদ দেয়া-রোটেট করা-রিপিট করা-ছোট বড় করা-এসব নানা টেকনিকে একটা ফর্ম থেকেই আরো বেশ কিছু ফর্ম আনা যায়।

০৩। ফর্ম ডিজাইনের আগে কয়েকটা সিম্পল শেপে নিজেকে রেসট্রিক্ট করে নেয়া ভাল।

০৪। ফর্ম ডিজাইনের সময় ফর্মে লাইট শ্যাডো সহ ভাবা ভাল। এতে কোথায় শার্প টার্ন নিচ্ছে বা কোথায় সফট এজ হচ্ছে সেগুলো ডিজাইনে চলে আসে।

০৫। ডার্ক ভ্যালু ব্যবহারে দেখা যায় একটা ভয় কাজ করে কিন্তু এটা ফর্মে খুব বেসিকে চিনতে শেখায় এবং এটার প্র্যাকটিস করা উচিত।

এই সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ছিল যেকোন এলিমেন্ট নিয়ে ভেবে সেটার ১৫ টা ফর্মের ভ্যারিয়েশান ভাবা। এটা করতে গেলে দেখা যায় ৪-৫ টা করার পর আর মাথায় আসতে চায় না। কিন্তু এই প্র্যাকটিস টা চালু না রাখলে আসলে ডিফারেন্ট ডিজাইন পাওয়া সম্ভব না।




অনলাইন ক্লাশ-২

অনলাইন ক্লাশ সিরিজের দ্বিতীয় পর্বঃ

২য় সপ্তাহঃ

এ সপ্তাহে ক্লাস ছিল থাম্বনেইল ডিজাইন আর পার্স্পেক্টিভের উপর। এ সপ্তাহের কী পয়েন্টঃ

০১। টু পয়েন্ট পার্স্পেক্টিভে একটা পয়েন্ট ফ্রেমের এজ এর কাছে আর একটা দূরে রাখলে ন্যাচারাল আই ভিউ পাওয়া যায়। আর যদি দুইটাই ফ্রেমের এজ এর কাছাকাছি হয় তাহলে ডিস্টর্টেড বা ফোর্সড একটা ভিউ পাওয়া যায়। লং শট এর ক্ষেত্রে দুইটাই ফ্রেমের অনেক বাইরে থাকে।

০২। কম্পোজিশনে ৭০-৩০ রুল ব্যবহার করা। ফ্রেমকে ৫০-৫০ ডিভিশন করা অনেক বোরিং দেখায়। একই সাথে যদি কাছা কাছি সাইজের দুই তিনটা অবজেক্ট থাকে তাহলে দেখা যায় তারা ভিউয়ার এর এটেনশানকে ভাগ করে নেয়। কিন্তু আমরা যদি চাই কোন অবজেক্টে এটেনশান ফোকাস করতে তাহলে সেটার সমান সাইজের অন্য কোন কিছু কম্পোজিশনে না রাখা ভাল।

০৩। হেলপফুল একটা টিপ-যেকোন এনভায়রন্মেন্ট ডিজাইনের আগে একটা টপ ডাউন ম্যাপ বানান এবং ম্যাপে এরিয়া আইডেন্টিফাই করা। ভ্যারিয়েশান গুলো উপর থেকে ঠিক করা এবং পুরো এনভায়রনমেন্ট কে ইউনিফাই করার কিছু এলিমেন্ট এই স্টেজেই ভেবে রাখা।

০৪। এনভায়রনমেন্ট ডিজাইনে রিপিটেশান খুব গুরুত্বপূর্ন। একই অব্জেক্টকে বিভিন্ন ভাবে-বিভিন্ন সাইজে-বিভিন্ন ভ্যালুতে-বিভিন্ন প্রোপর্শনে ব্যবহার খুব কাজে দেয়। এটা করলে ছবিতে ডেপথ আনা যায় এবং এনভায়রন্মেন্টের এস্টাবলিশমেন্ট হয়।

০৫। এনভায়রনমেন্ট আকতে শুরুর আগে পার্সেপেকটিভ গ্রিড স্কেচ মাস্ট। এটা ফলো করি বা না করি টুইস্টেড পার্সপেক্টিভে আকতেও এটা করে নেয়া দরকার।

০৬। আইসোমেট্রিক ভিউ একে নেয়া যেকোন এনভায়রনমেন্ট ডিজাইনে খুব হেল্পফুল।

০৭। ইম্পর্টেন্টঃ থাম্বনেইলে সাধারনত আমরা ভিউয়ার এর চোখ কে একটা লোকেশনে লিড করতে চাই। এই পথের শেষে থাকে সাধারনত পে অফ-যেমন কোন টাওয়ার-কোন লোকেশন-কোন দোকান পাট যা ইচ্ছা হতে পারে। এই চোখ কে লিড করার পথটা একদম সাদামাটা না হয়ে সেটার ভেতরে উচি নিচু-অবস্ট্রাকটিং এলিমেন্ট-ওভারল্যাপ আনলে ইন্টারেস্ট বাড়ে ভিজুয়ালি।

এই সপ্তাহে এসাইনমেন্ট ছিল টপ ডাউন ম্যাপ ডিজাইন করে সেখান থেকে ৬ টা থাম্বনেইল আকা ম্যাপের ভেতরের লোকেশনের।



অনলাইন ক্লাশ-১

কিছুদিন আগে একটা অনলাইন কোর্সে রেজিস্টার করলাম। cgmasteracademy.com এ ফান্ডামেন্টাল অফ এনভায়রনমেন্ট ডিজাইনে ভর্তি হবার পরে ক্লাস শুরু হল জুলাই এর ২৩ তারিখের দিকে। ৮ সপ্তাহের কোর্স-প্রায় ৫ সপ্তাহ হতে চলছে। অনলাইন কোর্স টা করার উদ্দেশ্য ছিল নিজের প্রসেস গুলো অন্যদের সাথে যাচাই বাছাই করা এবং কিছু ফিডব্যাক পাওয়া নিজের কাজ সম্পর্কে। 

অনলাইনে লেকচার, লাইভ ক্লাস, ফিডব্যাক সেশন, এসাইনমেন্ট এগুলোর ব্যস্ততার সাথে সাথে নিজের কাজ, অফিস সামলে ব্লগে অনেক দিন কিছু লেখা হচ্ছে না। ভাবলাম অনলাইনে ক্লাসের কিছু শেখা কি পয়েন্ট আকারে নিজের ব্লগে লিখে রাখি নইলে দেখা যাবে নিজেই ভুলে যাব কদিন পর।

প্রথম সপ্তাহঃ

 প্রথম সপ্তাহে কাজ ছিল সাদাকালো ছবি দেখে নিজের মত করে সেটার ভ্যালু পেইন্টিং করা। এবং এটা করার সময় প্রত্যেক স্টেপে কি কি ভাবছি সেগুলো নোট ডাউন করা। করতে যেয়ে যা যা শিখলামঃ

০১। ছবিতে ওভার কমপ্লিকেটেড শেপস এড়ান।

০২। পারলে লেয়ার মেইন্টেইন করা ফোরগ্রাউন্ড ব্যাকগ্রাউন মিড গ্রাউন্ডের।

০৩। এটমোসফিয়ার এড করে ব্যাকগ্রাউন্ড এলিমেন্ট কে আরও দূরে সরান। এটমোসফিয়ার এড করা মানে দেখা যায় গ্রাউন্ড লেভেলের কাছা কাছি হালকা ফগ বা ডাস্ট এর ইফেক্ট যোগ করা।

০৪। সব থেকে ইম্পর্টেন্টঃ ভ্যালু রেঞ্জ সিলেক্ট করা। সব থেকে কাছের এলিমেন্ট আমরা সাধারনত ডার্ক করি। আর দূরে গেলে হালকা করতে থাকি। এর সাথে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে কাছের এলিমেন্টে কনট্রাস্ট বেশি থাকবে এবং দূরে গেলে কমতে থাকবে। মানে কাছের এলিমেন্টে হাইলাইট ও ব্রাইট শ্যাডো ও একদম ব্ল্যাক অর্থাৎ ভ্যালুর রেঞ্জ হাই-কনট্রাস্টিং ভ্যালু। কিন্তু দূরে গেলে তাদের ভেতরে ভ্যালু রেঞ্জ কমতে থাকবে।

০৫। টেক্সচার ব্রাশ আন্দাজে দাগ চালালে কাযে দিবে না। বড় সাইজের টেক্সচার ব্রাশ দিয়ে দুই এক টান দিয়ে তারপরে সেটাকে বেজ করে নিজের মত রেণ্ডারিং করা যায়।

প্রথম সপ্তাহে আমার এসাইন্মেন্টঃ




রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১৮

সমকাল সাপ্তাহিক কার্টুন

দৈনিক সমকালের প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারের জন্য করা সাপ্তাহিক কার্টুনের কিছু কাজ ব্লগে দিয়ে রাখি!










উন্মাদের ৪০

উন্মাদের ৪০ বছরের এক্সিবিশনে ৪০ রকম উন্মাদ নিয়ে করা একটা কাজ।

বাক টু বেসিক




একদম বেসিক শেডিং এর একটা প্রসেস ডেভেলপ করে আউটপুট বের করার চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। এখন অনেক কাজেই দেখা যায় পেইন্টিং ব্লেন্ডিং করে ফেলি এবং অনেক ক্ষেত্রেই সেটা স্টাইলের সাথে বেমানান ভাবে। তাই মুটামুটি একটা কুইক প্রসেস বের করতে এই কাজ গুলো করা।

ফ্ল্যাট কালারের উপরে পার্পল মাল্টিপ্লাই এর শেড। আর সফট ব্রাশ দিয়ে শেডের এজ কন্ট্রোল করা-ব্যাক টু বেসিক কালারিং।

ক্যারিকেচার-২৪










অনেক দিন ব্লগে লেখা হয় না ছবিও দেয়া হয়না। ক্যারিকেচার নিয়ে বেশ ঘাটা ঘাটি করছি কিছুদিন। বেশির ভাগ ই সাদাকালোয় ভ্যালু স্টাডি। কালারে গেলে এখনো গোলমাল লেগে যায়।

ফটোশপে একটা চ্যাপ্টা খুব সিম্পল ব্রাশ নিয়ে কাজ গুলো করা। অল্প কিছু ব্রাশে স্টিক করে ফাইনাল আউটপুট আনার চেষ্টা করছি ইদানিং। একই সাথে ক্যারিকেচার ড্রয়িং এ ক্যানভাস ফ্লিপ করা আর ফটোশপের ডিসটর্ট টুলে ব্যবহার শুরু করার চেষ্টা চালাচ্ছি।

মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৮

ড্রয়িং ভাল করতে হবে-মানে কী?

ফেসবুকের নানান গ্রুপ পেজ ইত্যাদির কল্যানে প্রায়ই অনেক নতুন নতুন আর্টিস্ট এর সাথে পরিচয় হয়। অনেকেই মাঝে মধ্যে কাজের ফিডব্যাক চান। দেখা যায় যারা নতুন শুরু করছে তাদের সবাইকে আমি কমন একটা ফিডব্যাক দেই ড্রয়িং আরো ভাল করতে হবে। কিন্তু ড্রয়িং ভাল করতে হবে এটার মানে কী?

ড্রয়িং ভাল করার মানে অনেকে ভাবে শেডিং ভাল করা, লাইন কোয়ালিটি ভাল করা, অনেক সময় নিয়ে হ্যাচ টোন করা ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু ড্রয়িং ভাল করা বা সময় দেয়া বলতে আমি যেটা বুঝাতে চাই সেটা হচ্ছে ড্রয়িং এ যেটা আঁকতে চাই তার কন্সট্রাকশন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা রাখা। লাইন শেড টোন এগুলো নিয়ে শুরুতে চিন্তা না করে আন্ডার ড্রয়িং-যেটা কিনা মূল ছবি আঁকার আগের পর্যায় সেখানে সময় দেয়া।

কন্সট্রাকশন সম্পর্কে ড্রয়িং এর বেসিকের যেকোন বইতে ধারনা পাওয়া যাবে। মূলত সিম্পল কিউব, সিলিন্ডার, বল এ ড্রয়িং এর সাবজেক্ট কে ভাঙ্গা-এটাই কন্সট্রাকশন। এভাবে ভেঙ্গে নিলে ছবির বিভিন্ন অসংগতি সহজে চোখে পড়ে আর ফাইনাল ড্রয়িং এও সেটার ছাপ পাওয়া যায়।

একটা উদাহরন দিয়ে জিনিসটা দেখান যায়।

ফেসবুকের ফাহিম আসহাব এর পাঠান একটা ক্যারিকেচার। এখানে শেডিং লাইটিং এ যাওয়ার আগে স্ট্রং একটা আন্ডার ড্রয়িং প্রয়োজন। বেসিক শেপ গুলিতে মুখের ফর্ম গুলো ভেঙ্গে নিয়ে তারপরে ফাইনাল লাইনে যাওয়া। এভাবে ভেঙ্গে নিলে পরে পেইন্টিং করার সময় অনেক জায়গায় আন্দাজে শেড বা আন্দাজে লাইট দেয়া লাগে না। ফর্ম বুঝে বুঝে লাইট শেড আপ্লাই করা যায়।

ড্রয়িং ভাল করা মানে আসলে এই আন্ডার ড্রয়িং স্টেজে সাবজেক্টটা কে ক্লিয়ারলি বুঝা। ফর্মে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কনস্ট্রাক্ট করে নেয়া। অ্যানাটমি স্টাডি মানে অনেকে বুঝে সব মাসল ধরে ধরে স্টাডি বা কোন সুপার হিরো ফিগার দেখে কপি করে আঁকা। কিন্তু আসলে স্টাডি হওয়া উচিত আন্ডার ড্রয়িং করে নিয়ে কোন মাসলের উপরে কোন মাসল ফর্ম আছে এবং সেটার জন্য কোথায় কি ভাজ পড়ছে বা দাগ দেখা যাচ্ছে সেগুলো বুঝা। আন্ডারড্রয়িং এর বেসটা ক্লিয়ার হলে তারপরেই ফাইনাল পেইন্টিং আউটপুট ভাল আসবে।

এবার এ পর্যন্তই সংক্ষিপ্ত লেখা শেষ করলাম।


বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৮

ক্যারিকেচার-২৩





অনলাইন চ্যালেঞ্জ এবং কমিশন কাজের জন্য করা কিছু ক্যারিকেচারের কাজ!

কমিশন ক্যারিকেচারের কাজ নিয়মিত করা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে অন্যান্য কাজের ব্যস্ততায়। চেষ্টা করছি কমিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল ক্যারিকেচারে আরো সময় দিতে। মুখের ফর্ম গুলো পেইন্টিং স্টাইলে এক্সাজারেশানের প্র্যাকটিস চালাচ্ছি অনলাইন চ্যালেঞ্জ সাবমিশনে-কালার ভ্যালু এর আইডিয়া ডেভেলপে বেশ কাজে দিচ্ছে।