সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

বই মেলা-মেলার বই

ফেব্রুয়ারি-বই মেলার মাস। শিল্পী-লেখক-বন্ধু-বান্ধব-ঢাকা কমিক্স-উন্মাদ সব মিলে আড্ডা মারার মাস। অফিস কাজ কাম ইত্যাদির চাপে এবার মেলায় বেশি সময় দিতে পারিনি। তবে বেশ কিছু মজার কাজ করেছি এবারের মেলায়। মেলা জুড়ে আপডেট দিতে না পারলেও শেষ বেলায় লিখে রাখি ব্লগে এবারের কাজগুলো নিয়ে।

০১। হালুম (পার্ল পাবলিকেশান):

সাকিব আল হাসান এর ছোট বেলা নিয়ে কিশোর উপযোগী বই। এই বইটার কাজ শুরু করি গত বছরের অক্টোবরের দিকে। প্রায় ৩৬ টা ইলাস্ট্রেশান এবং কভার সহ সব কাজ শেষ করে ফেব্রুয়ারি একদম শুরু থেকে মেলায় বইটা আছে পার্ল পাবলিকেশানের স্টলে। কাভারের লেটারিং করেছে মাহাতাব রশীদ।

০২।গ্ল-স্টারের দর্জি ( ইকড়ি মিকড়ি) ঃ 

এই বইটার কাজ করে দারুন মজা পেয়েছিলাম। বেশ সময় নিয়ে ধীরে সুস্থেই করতে পেরেছিলাম। বাইকালারে ইলাস্ট্রেশান করার আইডিয়া দিয়েছিলেন প্রকাশক মাহবুব ভাই আর শেষ মেষ কমলা সাদা কালোতে ১২ টা ইলাস্ট্রেশান আর কভারে বইটা দেখে বস যখন বললেন বাহ-বেশ ভালই হয়েছে তখন মনে হল কাজটা বোধ হয় একেবারে খারাপ হয়নি! পুরো বইতে লেটারিং করে দিয়েছে মাহাতাব রশীদ!

০৩। ভাজা মাছের উলটো পিঠের গল্প ( ইকড়ি মিকড়ি) ঃ


এই গল্পটা অনেক আগে কিশোর আলো তে যখন বের হয়েছিল সেই গল্পে ইলাস্ট্রেশান টা আমার করা ছিল। পরে মাহবুব ভাই যখন বললেন এটা আস্ত বই আকারে করা হবে এবং এটায় ইলাস্ট্রেশান নতুন করে করার জন্য তখন ভাবছিলাম জলরং এ বইটা করা যায় কিনা। তবে পরে আর জলরং এ করা হয়নি-ডিজিটালে কালার নিয়ে একটু নতুন ধাচে কাজটা করার চেষ্টা করলাম। ৪ টা ইলাস্ট্রেশান আর কাভারে বইটা করে বেশ মজা পেয়েছি।

০৪। হুমায়ন আহমেদের গল্পএ ছোটদের কমিক্স ( ঢাকা কমিক্স) ঃ

হুমায়ুন আহমেদের গল্প নিয়ে কমিক্স করার আইডিয়াটা অনেক দিনের। কিশোর আলো তে টুকটাক বেশ কিছু কমিক করা হয়েছিল ওনার গল্প নিয়ে। আর সেগুলো মিলিয়ে ঢাকা কমিক্স থেকে দারুন একটা সংকলন করে ফেলা গেল। সংকলনে তিনটা গল্প আমার আর একটা মাহাতাব এর। দারুন কভার ইলাস্ট্রেশান মেহেদি ভাই এর।

০৫। জিতু - কমিক্স স্ট্রিপ সংকলন ( ঢাকা কমিক্স) ঃ


গোল্লাছুটে সাপ্তাহিক ভাবে বের হওয়া জিতুর অনেক গুলো স্ট্রিপ নিয়ে একটা কালেকশন। কাভার ইলাস্ট্রেশান টা পোস্টার হিসেবেও পাওয়া যাচ্ছে মেলায়!

০৬। স্বপ্ন চক্র ( আলেকজান্দ্রিয়া-পরিবেশক-বেহুলা বাংলা) ঃ


জামিল ভাই গত বছরের শুরুর দিকে ফোন করে একটা বই এর ইলাস্ট্রেশানের কথা বলেছিলেন। গল্পটা পড়ে প্রায় ১২ টা ইলাস্ট্রেশান আর কভার ড্রাফট করে ফেললাম। সাদা কালোতে চ্যাপ্টারের ইলাস্ট্রেশান আর কভার টা নিজের ইচ্ছে মত করে কাজ গুলো অনেক আগেই শেষ করে রাখা। তবে মেলায় আসতে আসতে একদম শেষ বেলা হয়ে গেল। মেলায় বেহুলা বাংলা এর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।

০৭। এক হালি হরিপদঃ

 কভার আর ৪ টা সাদাকালো ইলাস্ট্রেশান। বইমেলার মধ্যেই করা কাজটা তবে এখনো বইটা আসেনি। গল্পগুলো খুব মজার-পড়ে শীর্ষেন্দু এর অদ্ভুতুড়ে সিরিজের কথা মনে পড়ে যায়। ইলাস্ট্রেশানেও তাই সেই ছোটবেলার দেখা দেবাশীষ দেব এর ইলাস্ট্রেশান গুলোর একটা ইন্সপিরিশান রাখতে চেয়েছি। দেখা যাক বইটা আসলে কেমন দাঁড়ায় ব্যাপার টা!


বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

এনভায়রনমেন্ট স্টাডি

ডিজিটাল পেইন্টিং এ আমি সব থেকে বেশি ব্যবহার করি ফটোশপ। ইদানিং ফটোশপে ব্লেন্ডিং মুড নিয়ে এক্সপ্লোর করি। এক লেয়ারে ব্রাশের ব্লেন্ড মুড পালটিয়ে বিভিন্ন রকম ইফেক্ট নিয়ে ঘাটাঘাটি। কুইক ছোট এনভায়রনমেন্ট স্টাডিতে ব্রাশ গ্রাডিয়েন্টে আকা।







ক্যারিকেচার-২১

পেজে করা কিছু ক্যারিকেচারের কাজ। কিছু কমিশন কাজ, কিছু শখে করা।







ফেসবুক থেকে-০১

ফেসবুকে আমার পেজে বেশির ভাগ কাজই দেখা যায় আমার নিজের ক্যারেক্টারের বিভিন্ন সিচুয়েশানের কার্টুন ইলাস্ট্রেশান। তো এভাবে অনেক দিন আকতে আকতে নিজের একটা ক্যারেক্টার তৈরী হয়ে গেছে ইলাস্ট্রেশানে-যেকোন কম্পোজিশনে গেটিস মুখস্ত ক্যারেক্টার হিসেবে দেখা যায় কুইক একে ফেলি সেটা। ক্যারেক্টার টা নিয়ে বেশ কিছু এক্সপ্লোরেশানের কাজ করেছিলাম সেগুলো ব্লগে দিয়ে রাখি।






স্ট্রাগল ইজ অন

নতুন বছরের প্রথম ব্লগ পোস্ট। অনেক দিন ধরে নানান রকম কাজের চাপে সময় করে উঠতে পারছি না কাজ গুলো গুছানোর। ব্লগেও লেখা হচ্ছে না, কোথাও ঠিক ভাবে পোস্ট ও করা হচ্ছে না। অনেক কাজ হচ্ছে কিন্তু সব গুলোই বিচ্ছিন্ন ভাবে। ঠিক ভাবে কেন যেন কোন কাজ শেষ করে উঠতে পারছি না। এই সব স্ট্রাগলের মধ্যেই গত বছরের করা কিছু ওয়েব কমিক ব্লগে দিয়ে শুরু করি এই বছরের হালখাতা।