শনিবার, ২৫ মে, ২০১৩

আসিতেছে!


উন্মাদের জন্য ৫ পেজের একটা কমিক করলাম। একেবারে থাম্বনেইল থেকে শুরু করে পেন্সিল ইংকিং পর্যন্ত ম্যাঙ্গা স্টুডিও তে। একটা স্যাম্পল পেজ শেয়ার করছি-বাকিটার জন্য চোখ রাখুন আগামী উন্মাদে! :D

পেজ ০১

খাতা থেকে-০২


জেশচার ড্রয়িং নিয়ে অনেক দিন গুতা গুতি করার পরে নতুন করে আবার শুরু করতে যাচ্ছি-আজিজ থেকে কেনা ইংক ব্রাশ, কালি এবং নিউজ প্রিন্ট খাতা নিয়ে অভিযান চলবে। এবারের টার্গেট পেনের জেশচার আঁকার অভ্যাস টা একটু সরিয়ে রেখে ব্রাশ দিয়ে খুব সিম্পলি ফর্মটা ধরতে পারা। প্রথম দিনের কাজ কাম পোস্ট করে রাখলাম ব্লগে।
ব্রাশে এঁকে নেবার পর পেন দিয়ে পাশে পাশে আবার ট্রাই করছি ডিফারেন্স টা বুঝার জন্য।
ব্রাশে আঁকলে সুবিধা হচ্ছে পেনে আকার সময় জামার ভাজ হাত পা ইত্যাদি ডিটেলের চিন্তা করা লাগে না-তাড়া তাড়ি এ্যাঙ্গেল এবং গ্যাপ গুলি বুঝা যায়। এখনো বিষয়গুলো ধোঁয়াশা পর্যায়ে আছে, আবার ফিরে আসব আশা করি এই পোস্ট নিয়ে।

বুধবার, ১৫ মে, ২০১৩

কালার প্র্যাক্টিশ

প্রথম দিকে যখন আঁকা আঁকি শুরু করি তখন শুরুতেই যে চিন্তাটা মাথায় ঘুরত সেটা ছিল বাইরের আর্টিস্ট দের ছবি যা আমরা দেখি সেগুলো এত সুন্দর হয় সেটার কারন নিশ্চয় তারা ফটোশপে কালার করে বলে। অনেক অনেক অনেক দিন পরে এসে এই ভুল ধারনাটা থেকে বের হয়ে আসতে পারি যে আসলে কালার এর বিষয়টা সেকেন্ডারি, ড্রয়িং যদি ভাল না হয় সেখানে কালার দিয়ে ম্যানেজ করা মুটা মুটি অসম্ভব। এবং আরো একটা ভুল ধারনা ছিল যে গ্রাফিক্স ট্যাব এ ডিজিটাল কালার না করলে বুঝি কালার ভাল হওয়া সম্ভব না। এই ভুল ধারনা থেকে বের হইতে পারি যখন আমার অনেক শখের কেনা একটা জিনিয়াস ট্যাব নষ্ট হয়ে যায় এবং মাউস দিয়ে কালার করতে শুরু করি। যাই হোক ড্রয়িং এর ভুল ভ্রান্তি ই এখনো শিখে উঠতে পারিনি সেখানে কালার আরো দুরের বিষয়। তার পরেও বিভিন্ন সময়ে ডিজিটালি কালার শেখার জন্য অনেক রকম গবেষনা চালিয়েছি, (সকল গবেষনার সাবজেক্ট প্রায় কমন ই ছিল। :P) সেরকম কিছু গবেষনা ভিত্তিক ছবি নিয়ে পোস্ট। :)
এইটা অবশ্য কালার এর কিছু না, সেই ছোটবেলার অনেক অনেক দিন পার হয়ে যাবার পর বড়বেলায় এসে প্রথম পেন্সিল কলম হাতে নেয়া।
মহা উৎসাহে প্রথম ট্যাব কেনা এবং আবিষ্কার করা যে ট্যাব কিনলেই আপনা থেকে ছবি তৈরী হয়ে যায় না!  প্রাথমিক কালারিং এর চেষ্টা-সব কিছু অজানা, আন্দাজে আন্দাজেই দাগা দাগি করা।
ট্যাব এর অকাল মৃত্যু এবং অকুল পাথারে পড়া হায় হায় আর তো কালার শেখা হল না।  :P পরে মেহেদি ভাই এর ব্লগ পড়ে এবার ক্রোকিল পেনে ইংকিং এবং মাউস নিয়ে কালারিং শুরু!
মাউসে কালারিং চলছে, শিখতেছি কিছু কিছু বিষয়
স্কেচ বুকের এলিমেন্ট নিয়ে কালার করা প্র্যাকটিস
বাজারের সব থেকে কম দামী ট্যাব খুজে বের করে খরিদ করন এবং আবার নতুন উদ্যমে আঁকা আঁকি শুরু!
প্যাট্রিক ব্রাঊন এর টিউটোরিয়াল দেখে ল্যাসো টুল এবং গ্রাডিয়েন্ট ব্যবহার করে ফটোশপে কালার প্র্যাক্টিস
রেফারেন্স ফটো দেখে দেখে কপি করার প্র্যাক্টিস চলছে। এই ছবি গুলো জিনিয়াস ইজি পেন ট্যাবে আঁকা। এই ট্যাবটা পরে বিক্রি করে দেই।
সুদূর আমেরিকা হতে ওয়াকম ইন্টুস ৪ আনয়ন এবং মহা উৎসাহে গবেষনা শুরু! আউটলাইন ছাড়া আঁকার চেষ্টা এবং বুঝতে পারা যে সেই পর্যায়ে যেতে দেরী আছে!
আবার রেফারেন্স ফটো প্র্যাক্টিস।
সবশেষে একদম টাটকা একটা ছবি।

ফটোশপে কালার করতে যেয়ে শুরুতে তাল গোল পাকাতাম ব্রাশ সেটিং, লেয়ার, টেক্সচার ব্রাশ ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে। এত দিন পরে এসে বুঝতে পারলাম এক লেয়ার এক ব্রাশেই আসলে দারুন ছবি করা সম্ভব। এখনো কালারের হারমনি, রিদম ইত্যাদি বিষয়ে পুরাই অজ্ঞ। তাই গবেষনা চলছিল, চলবে!

বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০১৩

বৃষ্টি

ফেসবুকে আগে বৃষ্টির দিনে ঢুকলে বেশ কবিতা গান মুখর স্ট্যাটাস পোস্টস দেখা যেত। ইদানিং বৃষ্টিতে ভেজা সেই হোমপেজ আর বেশি দেখা পড়েনা। বৃষ্টি নিয়ে করা কিছু ছবি বিভিন্ন সময়ের।
২০১২ তে আঁকা, নতুন ক্রোকিল পেন কিনে ইংকিং প্র্যাকটিস চলছিল!
ফ্র্যাংক মিলারের সিনসিটি পড়ে পুরা মাথাই নষ্ট!
কাজ কামের ভিড়ে অনেক দিন ছবি আঁকা হচ্ছিল না, টিপ টিপ বৃষ্টির রাস্তার ছবি দেখে আবার খাতা পেন্সিল ওয়াকম।