বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯

অক্টোবরের স্টাডি

ইঙ্কটোবার চলছে পুরো দমে । প্রতিবছর অনেক অনেক আর্টিস্ট এর কাজ দেখি এ সময় আর মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি। ট্রাডিশনাল কালি পেন ব্রাশ এগুলির কাজ যে কত মজার সেটার একটা রিয়ালাইজেশান আসে প্রতি অক্টোবরে। কিন্তু দেখা যায় কোনবারই করে উঠতে পারিনা-না সময়, না কনসিসটেন্ট প্রাকটিসের অভ্যাস টা। গত কয়েকবছর ছাড়া ছাড়া ভাবে করার চেষ্টা করেছি যদিও-একবার অঞ্জন দত্তের গান থেকে ক্যারেক্টার নিয়ে, আর একবার নিজের ডেইলি রুটিন একে। তবে ইঙ্কটোবারের তুখোড় কাজগুলির পাশে সেগুলি পাতে দেবার মত না।

ইঙ্কটোবার নিয়ে আমাদের একটা পডকাস্ট চাইলে শুনে দেখতে পারেন এখানেঃ





ট্রাডিশনাল মিডিয়াতে দখল আমার খুবই কম-কাজ চালানোর জন্য পেন, পেন্সিল আর মার্কার-এতদূর পর্যন্তই হাত আসে। তাও দেখা যায় বড় পেপার দেখলে হাটু কাপাকাপি শুরু হয়ে যায়। স্কেচবুকে জেশচার স্টাডি আর টুকটাক মাঝে মধ্যে রাফ-আমার খাতায় কলমে আকার কাজ ওটুকুই। এবার ভাবলাম ইঙ্কটোবারের সিরিজ বা ইলাস্ট্রেশান কমপ্লিট করার মত দখল তো আসবে না, তার থেকে বরং স্টাডি চালাই। রিসেন্ট কমিক আকতে যেয়ে টের পাচ্ছি এনাটমি বা পার্সপেকটিভে কতখানি উইকনেস রয়ে গেছে। একই জিনিস বার বার আকতে আকতে স্টাইল ভাঙ্গার স্টাডিটা ভুলতে বসেছি। শেন গ্লাইন এর ড্রয়িং, আন্ডারড্রয়িং দেখে প্রাকটিস করতে করতে ভাবলাম অক্টোবরে তাহলে এটাই করি। প্রতিদিন এক পাতা যদি স্টাডি চালাই তাহলে কিছু নতুন জিনিস তো আকা শিখব। সেই ধারনা থেকেই শুরু ইঙ্কটোবার করা এবারের। কোন থিম নেই, কোন প্রম্পট নেই-শুধু স্টাডি।

শুরু করে প্রথম দিকে পাতা ভরতে থাকলাম জেশচার স্টাডি আর ফেস স্টাডি দিয়ে। দু তিন দিন যেতে না যেতেই বেশ একটা চেঞ্জ টের পেলাম। চিরচেনা এক ফেস যেটা বার বার একে আসছি দেখলাম সেটায় বেশ গলত রয়ে গেছে-নতুন একটা ফেস স্ট্রাকচার পেয়ে গেলাম রিয়েল ফটো দেখে স্টাডি করতে যেয়ে। আর কদিন পর ভাবলাম একটু কম্পোজিশন ট্রাই করি। খাপছাড়া স্টাডিই চলবে, কিন্তু কিছু কম্পোজিশনের রুল মিলিয়ে-যেমন এলিমেন্টের সাইজে কনট্রাস্ট, ওভারল্যাপ, নেগেটিভ স্পেস ছাড়া এইসব। দেখলাম ভাল খারাপ যাই হোক, কাজগুলি করে মজা পাচ্ছি৷ খাতা কলমে আকলে বড় করে আকার প্র‍্যাকটিসটা হয়, সাথে আনডু না থাকার জন্য আকায় মনোযোগ দিতে হয় অনেক বেশি। তাই জিনিসটা শেষ করার পর একটা অন্য ধরনের একমপ্লিশমেন্টের ফিল পাওয়া যায়। দেখা গেল শুরুতে এক পেজ করতে যদি সময় নিতাম ৩০ মিনিট, শেষে এসে এক এক পেজে সময় নিচ্ছি ২ ঘন্টার মত কিন্তু গোটা জিনিসটা এনজয় করছি কয়েকগুন বেশি।

এবারের আকার টুলস গুলির মধ্যে আছে লিড পেনসিল-শুরুর রাফ আন্ডার ড্রয়িং এর জন্য। বল পেন-লাইন আর্ট করতে, আর শেষে একটা স্টেডলার জেল পেন দিয়ে আউটলাইনিং। টেক্সচারিং বা সলিড ব্লাক অংশগুলি বল পেন, জেল পেন মিলিয়ে আকান।

ছবির এই সিরিজগুলিকে পরে কালার করবার পরিকল্পনা আছে। কপিক মার্কার, তুলি, কালি-এসব টুলের ব্যবহার শেখার একটা ইচ্ছে টের পাচ্ছি ভেতরে। উন্মাদে যেয়ে বস এর সাথে শেয়ার করবার পর বস উৎসাহ দিলেন একটা গোটা কমিক এভাবে নামান যায় নাকি ভেবে দেখতে। দেখি সামনে কত দিন এই জোশটা ধরে রাখতে পারি। তবে এবারের ইংক্টোবার নিঃসন্দেহে আমার জন্য একটা ভাল লার্নিং এক্সপেরিয়েন্স!



















বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৯

ক্যারিকেচার-২৫

ক্যারিকেচার-শুরু ক্যারিকেচার দিয়ে-এখনো সেইরকম ই মজা পাই ক্যারিকেচার এঁকে! নতুন কিছু কমার্শীয়াল কাজ-নিজের কাজ ক্যারিকেচার নিয়ে ব্লগে দিয়ে রাখি।









নতুন কমিক-ষড়রিপু

নতুন একটা গল্প নিয়ে কমিকের কাজ করছি ইদানিং। গল্পের মূল ভাবনা লেখা ফরহাদ মহসিন এর। সেটার উপরে একটা কমিক ওয়ার্ল্ড তৈরী করে লং একটা স্টোরি বলার ইচ্ছা। বড় গল্প কমিকে বা গ্রাফিক নভেলে কিভাবে বলা যায় এটা নিয়ে ইদানিং ভাবছি। বড় একটা আর্ক সাজিয়ে নিয়েছি। এখন ক্যারেক্টার গুলিকে নিয়ে সেই আর্কের শেষ মাথায় যাবার পথ টা তৈরী করতে করতে গল্প আগানোর প্ল্যান। বড় গল্পে খুব এসেনশিয়াল অনেক ক্যারেক্টার এবং তাদের ছোট ছোট আর্ক এবং ডেভেলপমেন্ট। এই প্রিন্সিপাল টা ম্যাংগা পড়তে পড়তে শেখা। দেখা যাক কতদূর কি অ্যাপ্লাই করতে পারি।

প্রথম কিছু স্ট্রিপের কাজ হয়েছে। সেটা ব্লগে দিয়ে রাখি।










রবিবার, ৯ জুন, ২০১৯

ড্রয়িং এর প্রবলেম

ক্যারেক্টার ড্রয়িং নিয়ে প্রাকটিস পড়াশুনা এসবের অনেক খানি জায়গা জুড়েই দেখা গেছে ভাবছি টেকনিক নিয়ে। টুল নিয়ে। লাইন দিব নাকী আউটলাইন ছাড়া আকব, ফ্ল্যাট রেনডার হবে নাকি থ্রিডি রেনডার হবে, ফটোশপে আকব নাকি খাতায়। এইসব ভাবতে ভাবতে হয়ত কিছু স্কিল ডেভেলপ করেছি কিন্তু ক্যারেক্টার ডিজাইনের মূল জায়গা যেটা শেখায় কিভাবে একটা ক্যারেক্টার ধরতে হবে সেখান থেকে হয়ত অনেক সরে গেছি। ক্যারেক্টার আকা নিয়ে বর্তমান কিছু ভাবনা শেয়ার করতে এই লেখাটা। পুরোপুরি নিজের চিন্তা ভাবনা, নিজের অবসার্ভেশান, কিভাবে ভাবি সেগুলো শেয়ার করবার জন্যই এই লেখাটা। অনেক ভুল ভ্রান্তিও থাকতে পারে। তবে এখন মনে হয় শেখার বিভিন্ন স্টেজে যা ভাবছি সেটা ভুল হলেও লিখে রাখা ভাল। পরে ভুল বুঝতে পেরে শুধরে নেবার পরে মাথায় থেকে যায় লার্নিং টা।

যাক, ভুমিকা শেষ করে ঘটনায় আসি। ট্রাভেল ব্লগের ধাচে আমার চিন্তা গুলো লিখে রাখার প্ল্যান আজকে। ইদের পরদিন ঢাকা থেকে খুলনা যাচ্ছি। মাওয়া লঞ্চঘাটে এসে লঞ্চে উঠলাম। পিঠে একটা ব্যাগ হাতে একটা লাগেজ। আকাশে মেঘ। লঞ্চ ছাড়তে দেরী হচ্ছে। ভেতরে সিট না পেয়ে ব্যাগ লাগেজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি বারান্দায়। এখানে দুটো ক্যারেক্টার দেখে তাদের ডিজাইন নিয়ে ভাবতে ভাবতে লঞ্চ যাত্রা শুরু।

আমার মনে হয় আমরা সারাদিন অসংখ্য মানুষ দেখে, শুনে, কথা বলে, বই পড়ে ক্যারেক্টার সম্পর্কে নিজের মনে মনে একটা পার্সেপশান ঠিক করে নেই। নতুন কোন মানুষকে দেখলে চট করে আমাদের সাবকনশাসে রাখা স্টেরিওটাইপগুলার সাথে মিলিয়ে তাকে একটা ছকে ফেলে দেই। কাউকে দেখলে ভাবি এ লোকটা  রাগী গুন্ডা টাইপ, কাউকে দেখেই ভাবি ঢংগি, কাউকে দেখে মনে হয় সাদামাটা ভাল মানুষ, আবার কাউকে দেখলেই মনে হয় ব্যাটা নির্ঘাত পকেটমার। এই ভিজুয়াল লাইব্রেরি আমাদের সবার মনের মধ্যে আছে কিন্তু ড্রয়িং করতে গেলে সেই লাইব্রেরি থেকে ভিজুয়াল সহজে মাথায় আসতে চায়না। রাস্তায় দেখলেই বুঝে ফেলি কার থেকে সাবধানে থাকতে হবে কিন্তু আকতে বসলে গ্যাঞ্জাম করতে পারে এমন একটা ক্যারেক্টার আকা কঠিন। এটার জন্যই ক্যারেক্টার অবসার্ভ করে তার কোন কোন ভিজুয়াল এলিমেন্টের জন্য তার ক্যারেক্টারিস্টিক ট্রেইট গুলো তৈরী হচ্ছে সেটা সাবকনশাস এর সাথে কনশাস মাইন্ডেও টুকে রাখা জরুরী মনে হচ্ছে ইদানিং।

আবার ফিরে যাই সেই লঞ্চের বারান্দায়৷ লঞ্চ ছেড়ে দিচ্ছে। আমার সামনে ষন্ডা মার্কা একটা লোক হুস হুস করে ঝালমুড়ি খাচ্ছে। এই আ্যাবস্ট্রাক্ট আইডিয়ার এবার ভিজুয়াল ব্রেকডাউন ভাবি মনে মনে।

ষন্ডা- কাউকে দেখলে ষন্ডা মার্কা মনে হবে কেন? লোকটাকে আর ভাল ভাবে খেয়াল করি। আমার থেকে একটু ছোট হাইটে। মাথায় চুল একদম ছোট করে ছাটা। ঘাড় বেশ মোটা। মাথা চৌকনা ধরনের। চোখ গুলো গোল গোল, দুই চোখের মাঝে ডিস্টান্স আছে। নাকটা ছোট, চওড়া। গায়ের রঙ কালো এর দিকে। চোখ গুলো হলিদাভ লাল। শার্টের একটা বোতাম খোলা উপরর, কলার ঘাড়ের সাথে লেপ্টে আছে। শার্ট টা চেকের, হাতা গুটানো। জিন্সের প্যান্টের ভেতরে ইন করা। ঘাড় অনেক মোটা৷ জিনস পরনে, জিনসের কোমরের কাছে অ্যাটার্ন আকা। আকাশী নীল কালারের রংং ওঠা জিন্স। পায়ে কেডস। সাদা রঙ। রেলিং এ পা ভর দিয়ে দাড়ান। হাতে ঝাল মুড়ি এর কাগজ৷ ঝাল মুড়ি এর সাথে দেয়া ভিজিটিং কার্ডটায় করে খেতে শুরু করে একটু পর দেখলাম হাতে ঢেলে খাওয়া শুরু করে দিল। ঝাল মুড়ি এর কাগজটা হলুদ মশলা মাখা। ডান হাতে প্যাকেট ধরে বাম হাতে ঢেলে খাচ্ছে। মুড়ি চিবানর সময় মুখটা এক পাশে বেকে যাচ্ছে অনেকটা। মাড়ির দাত দেখা যাচ্ছে। দেখে অনেকটা ব্যাটম্যান ভিলেন হার্ভি ডেন্ট এর কথা মনে হল। মুড়ি চাবাচ্ছে, হুস হুস করে মুখ টা আবার চিকন করে ফেলছে ঝালের গরমে। মুড়ি চাবানর সময় চোয়াল নড়ছে, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে হাড়ের মুভমেন্ট, মুখে দাগ, ঠোটে লেগে আছে ভাংগা মুড়ির গুড়ো।

এত ডিটেলে দেখতে দেখতে মনে মনে নোট নিয়ে নিলাম ক্যারেক্টার ডিজাইনের। প্রায় ৪০ মিনিটের লঞ্চ জার্নি- যেতে যেতে লোকজন দেখে দেখেই সময় কাটানো।

এর মধ্যে আর এক ক্যারেক্টার পাশ থেকে। দেখেই মনে হয় লোকটা চাল্লু টাইপের। এই চাল্লু টাইপের ভিজুয়াল ব্রেকডাউন ভাবা যাক।

একদম চিকন সাইজের একটা লোক। মাথাটা অনেক বড় দেখায় ফিগারের অনুপাতে। গাল ভাংগা, চোয়াল অনেকখানি বের হয়ে আছে। চৌকো লম্বাটে মুখ। চুল দিয়ে কপাল অনেকখানি ঢাকা। ফোলা চুল মাথায়। চোখ গুলো বড় বড়, মুখে চাপ দাড়ি, খোচা খোচা। হাসলে কথা বললে মুখের কাটা বেশ বড় করে দেখা যায়। মুখে হাসি লেগেই আছে। গায়ে কাল একটা রাউন্ড নেক টি শার্ট, বড় করে লেখা হ্যাপিলি আন ম্যারিড। নিচে জিনস, ন্যারো ফিটিং এর৷ ফেডেড নীল রঙ, পায়ে লোফার ডিজাইনের জুতো। টকটকে লাল- উপরে একটা গোল্ডেন পিন। লোকটা সারাক্ষন কথা বলছে। এই ফেরিওয়ালার কাছে বেনসনের দাম জিজ্ঞেস করল, এই পাশের লোকের কাছে আগুন চেল, মাঝ নদীতে ঢেউ কত বড় হয় তা নিয়ে জ্ঞান দিল, আমাকে চেনা চেনা লাগছে বলে খুলনায় বাড়ি কোথায় জানতে চেল। খানিক পরে দেখলাম লঞ্চের ছাদে নামাজে বসেছে।

এই ডিটেলে ক্যারেক্টার দেখার প্র‍্যাক্টিস করলে দেখা যায় আশ পাশে এত এত আনএক্সপ্লোরড ক্যারেক্টার লোকেশান স্টোরি রয়ে গেছে, একে লিখে শেষ করা যাবেনা।  একটা ক্যারেক্টার আকার সময় সেটার ব্যাকগ্রাউন্ড ভাবা, ক্যারেক্টারের অনুভুতিগুলো নিজে ফিল করা, ড্রয়িং এর ভেতরে এই ব্যাপার গুলো নিয়ে আসতে সাহায্য করে। আমি লঞ্চে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঝাল মুড়ি খাওয়া দেখতে দেখতে নিজে যখন মুড়ি চাবানর অভিনয় করতে যাই তখন সেই জেশ্চার আমার নিজের ভেতর ফিল করতে পারি। নিজে ফিল করার পর সেই ফিলিং টা ড্রয়িং এ ট্রান্সফার করা যায়। তার আগে না। এই ট্রান্সফার করার সময় দরকার হয় স্কিল, প্র‍্যাকটিস এবং টেকনিকাল নলেজ। একই সাথে দরকার হয় আ্যবস্ট্রাক্ট ফিলিং গুলোকে ডিকন্সট্রাক্ট করে কী ভিজুয়াল এলিমেন্ট গুলো আইডেন্টিফাই করা।

নিজে ড্রয়িং এর সময় এরকম অনেক চিন্তা ভাবনা মাথায় নিয়ে আকতে গেলে দেখা যায় শেষ মেষ লেজে গোবরে হয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা করছি এগুলো মাথায় নিয়ে আস্তে আস্তে কিছু লেয়ার চিন্তা ভাবনা কমিয়ে কী মেসেজ কীভাবে দেওয়া যায়। 

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৯

প্রসংগ গ্রাফিক ট্যাব

গ্রাফিক ট্যাবলেট। নতুন অনেক আর্টিস্ট কার্টুনিস্ট গ্রাফিক ডিজাইনার, সবার কমন প্রশ্ন কোন গ্রাফিক ট্যাবলেট কিনব? দেখা যায় গ্রাফিক ট্যাবলেট কেনা বিষয়ে পরামর্শ চাইলে অনেকেই বলেন বাজেটের ভেতর যেটা পাও সেটাই কিনে ফেল। আমি নিজেও এই পরামর্শ দেই অনেককে। কারন কিছুদিন আকাআকির অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি গ্রাফিক ট্যাবলেটের কনফিগারেশন ভাল বলে কারো আকা ভাল হয়ে যায়নি। কিন্তু নতুন দের জন্য এই পরামর্শ দেখা যায় আরো কনফিউজিং হয়ে যায়৷ আগে ছিল একটা ব্র‍্যান্ড এখন বাজারে অনেক গুলি ব্র‍্যান্ডের ড্রয়িং ট্যাবলেট। কোনটা ছেড়ে কোনটা কিনব, কি কি স্পেসিফিকেশনের দিকে নজর রাখব, বাজেট কি বাড়াব নাকি কমের ভেতরেই রাখব, এসব একশ চিন্তা ভেবে দিশেহারা হয়ে যায় অনেকেই। এগুলি নিয়েই আজকের লেখাটা।

প্রথমেই গ্রাফিক ট্যাবলেট কেনার সময় সবাই ভাবতে বসে বাজেট। কিন্তু তার আগে ভাবা উচিত কী কাজে ট্যাবলেট টা কিনছি। এবং আর একটা জিনিস মাথায় রাকাহ দরকার যে ট্যাবলেটে আগে আকার অভিজ্ঞতা না থাকলে ট্যাবলেটে ড্রয়িং এ অভ্যস্ত হতেই কয়েক মাস লেগে যাবে। সুতরাং কিনে একে ফাটিয়ে ফেলব এই আশা না রাখাই ভাল। খাতা কলমে আকার স্কিল ট্যাবলেটে ট্রান্সফার হতে বেশ সময় লাগবে এটা মেনে নিতে হবে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রথম ট্যাবলেট আসলে ডিজিটাল ড্রয়িং এর হাতে খড়ি ডিভাইস হিসাবেই কাজ করবে। এজন্য প্রথম ট্যাবলেট এক্সপেরিমেন্টের জন্য কেনা এটা মাথায় রাখা উচিত। অনেক বাজেট না বাড়িয়ে প্রথম ট্যাবলেটের জন্য একটু লো বাজেটের ট্যাবলেট কেনা ভাল। এই পয়েন্টে এসে অনেকে ভাবে বেশি দামের টা নিশ্চয় বেশি ভাল, ভাই আমাকে ভালটা কিনতে নিষেধ করছেন নিশ্চয় ওটার সিক্রেট ফিচার আমাকে জানতে দিতে চাননা। নিজেরা তো ঠিক ই দামী দামী ট্যাবলেটে ছবি আকেন। আর তাই জন্যই তো ছবি গুলো ভাল হয়। কিন্তু আসলে বিগিনার আর্টিস্ট কে কম দামে ট্যাবলেট কিনতে বলি যাতে শুরুতে হোচট খেয়ে হতাশাটা কমের উপর দিয়ে যায়!

বাজেট প্রসংগে আর একটা কথা৷ বাজারে ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ট্যাবলেট আছে। আমি কোন বাজেটে কিনব? বাজেট বেশি থাকলে ভাল দামী কিছু কিনতে আপত্তি নেই কিন্তু বাজেট না থাকলে দামী ট্যাবলেট না কেনার দুঃখে থাকার ও দরকার নেই। একটা থাম্ব রুল হতে পারে যদি হাই এন্ড এর ট্যাব কেনার বাজেট না থাকে তাহলে মোস্ট প্রোবাবলি ওই ট্যাবলেটটা আপনার এখন প্রয়োজন ও নেই। আপনি হয়ত শখে আকা শুরু করেছেন। কিছুদিন টুকটাক আকেন ভাল লাগতেছে৷ তখন ই যদি ভাবেন আপনার আর্ট কে নেক্সট লেভেলে নেবার জন্য প্রয়োজন একটা ডিসপ্লে সহ ট্যাবলেট আমি বলব ভুল করবেন। তার থেকে আপনার বেশি প্রয়োজন আকার স্কিল আরো ডেভেলপ করা। খাতা কলমে আকতে গেলে আপনি প্র‍্যাক্টিস করার জন্য নিউজপ্রিন্টের কম দামী খাতা আর বল পেন কিনেন। ফাউন্টেন পেন আর দামী কাগজ কিন্তু কিনেন না। ডিজিটালি কাজ শুরুতেও আসলে হাতে প্র‍্যাকটিস এর জন্য একটু লো বাজেটের ট্যাব ই ভাল। কারন এই ট্যাবটা আপনাকে ডিজিটাল ড্রয়িং করতে শেখাবে। তারপর আপনি যদি প্রফেশনালি কাজ করতে থাকেন তাহলে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেই বুঝে নিতে পারবেন আপনার কোন ডিভাইস্টা দরকার।

তাহলে যেই বাজেট ঠিক করব সেটার ভেতরেই একটা ট্যাবলেট কিনব। কিন্তু কিনতে গেলে কী কী দেখব? কোন ব্র‍্যান্ড দেখব? এগুলির উত্তর একটা একটা করে আসি।

ব্র‍্যান্ডঃঃ আমি ওয়াকম, জিনিয়াস আর এক্সপি পেন ব্র‍্যান্ডের ট্যাব ব্যবহার করেছি। এক্সপেরিয়েন্স থেকে আমি বলব ওয়াকম কিনতে। এখনকার হুইয়ন বা এক্সপি পেন ট্যাব ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আমার নেই। তাই এ বিষয়ে সঠিক কম্পেয়ার দিতে পারছি না। সব থেকে ভাল হয় ব্যবহারকারী কার কাছ থেকে অপিনিয়ন নিলে। ফেসবুকে অনেক গ্রুপে আপনি ইউওজার ফিডব্যাক নিতে পারেন। আমার পরামর্শ থাকবে ওয়াকম কিনার।

সাইজঃ ডিভাইসের সাইজ একটা ইম্পর্টান্ট ফ্যাক্টর মডেল চুজ করার জন্য। আমি যতগুলি ট্যাব ইউজ করেছি সব গুলি স্মল সাইজের। তাই আমি বলব যারা শুরু করছেন ডিজিটাল আর্ট তারা স্মল সাইজটাই  কিনতে পারেন। ক্যানভাসে আকার অভ্যাস থাকলে অনেকে মিডিয়াম সাইজে কম্ফর্টেবল হন। আপনার অভিজ্ঞতা আর বাজেট বুঝে ঠিক করে নিতে হবে।

মডেলঃ মডেল বাছার ক্ষেত্রে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে পারেন।

পেন প্রেশার লেভেলঃ আমার পরামর্শ ২০০০ প্রেশার লেভেলের নিচের ট্যাব না কেনার। ১০০০ প্রেশার লেভেলের ট্যাব ও আমি ব্যবহার করি। তবে ২০০০ এ আমার ড্রয়িং স্টাইলের সাথে বেশি কম্ফোর্টেবল লাগে। এখন ৮০০০ প্রেশার লেভেলের স্টাইলাস পাওয়া যায়। সেগুলো সাধারনত একটু হাই বাজেটের তাই বাজেটে কুলালে এবং প্রফেশনালি কাজ করলে কিনতে পারেন। 

স্টাইলাসঃস্টাইলাস দুই ধরনের হতে পারে-ব্যাটারি সহ আর ব্যাটারি ছাড়া। ওয়াকম এর সব ডিভাইসেই ব্যাটারী ফ্রি স্টাইলাস থাকে। ব্যাটারি সহ স্টাইলাস ব্যবহার করে দেখেছি ভারী লাগে আর ব্যাটারি পাল্টাবার হ্যাসল থাকে। ব্যাটারি ফ্রি স্টাইলাস মডেল কেনার পরামর্শ থাকবে।

ওয়্যারঃ তার এর কানেকশন সহ মডেল আছে, ব্লু টুথ সহ মডেল আছে। এটা তেমন ডিফারেন্স মেক করেন আমার মনে হয়। যে কোনটা নিতে পারেন। তবে কানেকটিং তার বেশি না খোলা বা নিয়ে মুভ না করা ভাল। আমার একটা ইন্টুস মডেল এর কানেকটিং তার এর জায়গাটা নষ্ট হয়ে যায় বার বার তার পালটানো এবং ক্যারিং এর সময় বাড়ি খাবার কারনে।

টাচঃ টাচ ড্রয়িং ট্যাব এ আমার তেমন কোন কাজে লাগেনি। টাচ ছাড়া মডেল কিনতে পারেন কোন পার্থক্য নেই।

ডিসপ্লেঃ ইদানিং অনেকে ডিসপ্লে সহ ট্যাব কিনতে চান। এ ধরমের ট্যাব এর প্রথমত দাম বেশি। তাই কেনার আগে বুঝে নেন আপনার কেনার প্রয়োজন, বাজেট আছে কিনা। কেনার সিদ্ধান্ত নিলে দুম করে না কিনে একটু অনলাইনে ঘাটা ঘাটি করে দেখেন। সব থেকে ভাল হয় লং টাইম ইউজার কারো থেকে অপিনিয়ন নিলে এবং ডিভাইস টা ব্যবহার করে দেখলে। আমি ডিস্পলে সহ ট্যাব ব্যবহার করেছি সিন্টিক,  এক্সপি পেন এবং আই প্যাড৷ সিন্টিক ই আমার মতে সব থেকে সেফ এবং ভাল অপশন। এক্সপি পেন এ আমি একে আরাম পাইনি। পেন প্রেসার লেভেল ওয়াকম এর মত ছিলনা। আই প্যাড ডিভাইস হিসাবে ভাল কিন্তু আমার প্রফেশনাল কাজে সফটওয়্যার সাপোর্টে একটু ল্যাকিং। যেহেতু আমি ডেস্কটপ এ আকি সিন্টিক আমার জন্য সব থেকে বেশি কাজের। তবে এক্ষেত্রেও কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিবেন কিছু জিনিস।

প্যারালাক্সঃ ডিভাইস ডিস্পলে এবং পেন এর মধ্যে একটা ছোট্ট ডিসটেন্স থাকে। কেনার আগে অবশ্যই ইউজ করে দেখে নিবেন এই প্যারালাক্স আপনার আকায় কোন সমস্যা করছে কিনা। অনেকে সিন্টিক কিনে কাজ করতে পারেননি প্যারালাক্স এ সমস্যা হয় বলে।

কানেক্টিভিটিঃ সিন্টিক এর নতুন মডেলগুলি ডিরেক্ট ডেসটপের সাথে কানেক্ট করা যায়না। আলাদা কানেক্টর লাগে। আবার এইচ ডি মডেলগুলি সরা সরি পিসিতে কানেক্ট করা যায়। তাই আগেই কানেক্টিং পোর্ট সম্পর্কে দেখে নিন।

প্রসেসরঃ সিন্টিক এর সব থেকে দামী মডেলগুলি আসলে প্রসেসর র‍্যাম হার্ড্ডিস্ক সহ এক একটা কম্পিউওটার। মোবাইল স্টুডিও অনেকে কিনতে চান পোর্টেবিলিটির জন্য। তবে আমি পার্সোনালি মোবাইল স্টুডিও কেনার বিপক্ষে। কারন এটা প্রসেসর ব্যাটারি সহ বেশ ভারী একটা ডিভাইস এবং পোর্টেবল হিসাবে ভালনা। আর ব্যাটারী থাকার কারনে এটা বেশ গরম হয় যা আকার জন্য আনকম্ফোর্টেবল৷ এবং তা ছাড়া দুই জন এইউওজার এক্সপেরিয়েন্স আমি শুনেছি যারা মোবাইল স্টুডিও কেনার পর ডিভাইসে প্রবলেম দেখা দিয়েছে এবং ডিভাইস নষ্ট হয়ে গেছে। যদি ডেস্কটপ এর সাথে সিন্টিক ব্যবহার করতে চান তাহলে অনলি ডিসপ্লে ডিভাইস কেনাটাই ভাল হবে। মোবাইল স্টুডিও তে আপনি পেন বা ডিসপ্লে এর প্রেশার লেভেল, রেসপন্সিভনেস এগুলিতে কোন আপগ্রেড পাবেন না৷

এগুলি ই মোটামটি গ্রাফিক ট্যাবলেট নিয়ে আমার জ্ঞান। কারো কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন। তবে শেষ কথা, ট্যাবলেট আপনাকে আকা শেখাবে না। আকা শেখাবে প্র‍্যাকটিস এবং বুঝে প্র‍্যাকটিস।

বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

মেলায় ছোটদের বই

প্রতি মেলায় ইচ্ছা থাকে ছোটদের বই নিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কিছু করার। কিন্তু করতে যেয়ে দেখি শেষ মেষ খুব একটা নতুন ধরনের কাজ করার সাহস করে উঠতে পারি না, বা পারলেও নিজের পছন্দসই হয়না। এবার মেলায় দুটো ছোটদের পিকচার বই এর কাজ করেছিলাম। একটা এসেছে শৈশব প্রকাশনী থেকে- শারমিন শামসের টুলটুল আর ম্যাও ছানাদের গপ্পো। আর দ্বিতীয়টা খুবই স্পেশাল-কারন এটা লিখেছেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং বই এসেছে তাম্রলিপি প্রকাশনী থেকে।

এবার এক্সপেরিমেন্ট করতে চেয়েছিলাম পার্সপেক্টিভ এবং কালার ভ্যারিয়েশান নিয়ে। ডিসটর্টেড পার্স্পেকটিভ এর আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে যেয়ে লেজে গোবরে। আর কালার ভ্যারিয়েশনে চেষ্টা করেছিলাম ডিজিটালেই কালার ডায়নামিক্স সহ ব্রাশ ব্যবহার করে একটু স্মাজি কালারের ভাব আনার। সেটাও কিছু জায়গায় বেশি বেশি হয়ে যেয়ে মেখে গেছে কিছুটা। তবে বই এর প্রিন্ট খারাপ আসেনি কোনটার এটাই শান্তনা!

কিছু ছবি ব্লগে দিয়ে রাখি।









নীলকমল-লালকমল

ঢাকা কমিক্স থেকে বইমেলার জন্য করা এবারের কমিক। দক্ষিণারঞ্জন এর ঠাকুরমার ঝুলি থেকে নেওয়া নীল কমল লাল কমল এর রূপকথার ছায়া অবলম্বনেই কমিক টা করা বলা যায়। এই প্রজেক্টের শুরু সম্ভবত গত বইমেলার (২০১৮) এর পর পরই। মেহেদি ভাই বললেন আগামী মেলাতে একটা বিশাল পরিকল্পনা। ঠাকুর মার ঝুলি এর গল্প গুলির কমিক ভার্সন করা হবে ঢাকা কমিক থেকে। ছয় আর্টিস্ট ছয় গল্প থেকে কমিক করবে। একসাথে বিরাট একটা সংকলন। ছোটদের জন্য একদম জমজমাট আকর্ষন।

প্রজেক্ট এর প্রাথমিক উত্তেজনা কেটে কাজ শুরু করতে করতে দেখা গেল বছরের শেষ দিক চলে আসছে। মেহেদি ভাই বললেন কমিকের কাজ শুরু করতে পারবা? আমি বলি মেহেদি ভাই এই তো আর একটা কমিক শেষ করতেছি-শেষ করেই ধরব। মেহেদি ভাই কয়দিন পর আবার বলেন রূপকথা কমিকের কাজ ধরতে পারবা-আমি বলি এইতো মেহেদি ভাই, স্ক্রিপ্ট লিখতেছি। লিখেই ধরব। ভাই আবার কিছুদিন পর বলেন-কাজ কী ধরতে পারবা? আমি বলি ভাই আমি তো বিয়ের মার্কেটিং এ-শেষ করেই ধরতেছি।

এই গড়ি মসি করতে করতে নীলকমল লালকমলের কাজ ধরা হল প্রায় ডিসেম্বরে। আর রঙ করে ফাইনালি সব শেষ করে জমা দিলাম ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখে। শেষ দিকের প্রায় ১০ পেজে ফ্ল্যাট কালার করে সাহায্য করেছে রোমেল। দারুন প্রিন্টে ঝক ঝকে কমিক বই ঢাকা কমিক্সে চলে আসল মেলার দ্বিতীয় সপ্তাহেই।

ঠাকুরমার ঝুলি এর আক্ষরিক কমিক রূপান্তর আমার পশ্চিমা কমিকের স্টোরিটেলিং আইডিয়ায় হয়ত করতে পারিনি। চেষ্টা করেছি নিজের মত করে গল্পটা বেশ পরিবর্তন করেই বলতে। মূল ভাবনা, চরিত্র এবং গল্পের ক্রম ঠিক রেখে সংলাপ, ক্যারেক্টার বিল্ডিং এবং রূপকথার রাজ্যের বর্তমান সময়ের ক্যারেক্টারাইজেশনে নিজের স্বাধীনতা মত বলা যায় যাচ্ছেতাই ই করেছি। মেহেদি ভাই টুকটাক এডিট করা ছাড়া আমাকে আমার মতই লিখতে আঁকতে কোন বাধা দেন নাই!

এই সিরিজের অন্যান্য বই গুলোর কাজ অনেক খানি আগানোর পরেও নানা জটিলতায় এবার মেলায় আসেনি। তবে আশা করি সামনের মেলায় রূপকথা সিরিজের আরো বই আসবে।

কেমন লাগল পাঠকের কে জানে-রূপকথার পাঠকদের সাথে যোগাযোগ এখন আর নেই।


মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

নিজের কমিক-০৫

অনেক ঝক্কি ঝামেলা শেষে অবশেষে তুফান কমিক এখন বাজারে!  এর মধ্যে নানান কিছুর ভেতর দিয়ে যেতে যেতে ব্লগে কোন আপডেট দেওয়া হয়নি। কমিকের পুরো গল্প একবারে করার প্ল্যান থাকলেও শেষ মেষ সময়  স্বল্পতায় দুই ভাগে করার সিদ্ধান্ত নিলাম। ৬২ পেজ করে মোট ১২৪ পেজে দুই খন্ডে গল্প শেষ করার পরিকল্পনা এখন। প্রথম ৬২ পেজের কাজ সময় মত শেষ করে মেলার প্রথম দিন থেকেই পাঞ্জেরী স্টলে পাওয়া যাচ্ছে তুফান-০১!

গ্রাফিক নভেলের এই কাজে অনেকের কাছে অনেক রকম হেল্প পেয়েছি। কমিকে ফ্ল্যাট কালারে কাজ করেছে মারুফ হাসান, ফাহাদ রহমান, রেহনুমা প্রসূন, রাকিব রাজ্জাক এবং রোমেল বড়ুয়া। কমিকের এডিটিং, টাইটেল ডিজাইন, প্রিন্টিং সব কিছুর দায়িত্ব নিয়েছেন পাঞ্জেরী এর নিলয়দা। কমিকের প্রিন্ট দেখে মন ভাল হয়ে গেছে! কমিকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাথে ছিলেন শাহরিয়ার ভাই- কমিকের টাইটেল ও শাহরিয়ার ভাইএর দেয়া। আর সেই সাথে বিভিন্ন সময়ের স্ক্রিপ্ট পড়ে ফিডব্যাক জানিয়েছেন আরো অনেকে! সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।


নিজের স্টাইলে নিজের গল্পে গ্রাফিক নভেল করলাম প্রথম! জানিনা কেমন লাগবে সবার-আমি কাজটা করে বেশ মজা পেয়েছি। আর্ট স্টাইল, স্ক্রিপ্টিং দুই ক্ষেত্রেই অনেক এক্সপেরিমেন্ট আছে, অনেক ভাবনা চিন্তা ছিল-সব কিছু ঠিক ঠাক আনতে পেরেছি কিনা জানিনা। অচিরেই দ্বিতীয় পর্বের কাজে হাত দিব। কমিকটা পড়ে ফিডব্যাক জানালে খুব খুশি হব!