বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

দস্তাবেজ-১৯

ঝাড়ু দিয়ে জড়ো করা সব হাবি জাবি পোস্ট।





স্ট্রাগল

ফেসবুক মিম লেম জোক ইত্যাদি সব কিছু মিলায় একটা ডায়লগ প্রায়ই মাথায় ঘুরে-The Struggle is Real! এই থিমটাকে নিয়ে মাঝে মধ্যে কিছু আইডিয়া মাথায় আসত। সেগুলা নিয়ে একটা ওয়েব কমিক ধরনের সিরিজ করছি কিছু দিন আমার পেজে। ব্লগে দিয়ে রাখি প্রথম কিছু কমিক।









ক্যারিকেচার-১৯

দেশি সেলিব্রেটিদের ক্যারিকেচার করা একটা মজার চ্যালেঞ্জ। কারন দেখা যায় বাইরে যারা ফেমাস তাদের অনেকের ই অনেক জায়গায় পাবলিশড ক্যারিকেচার আমরা দেখি। তাই আকতে গেলে ঐ ক্যারিকেচার গুলার ইনফ্লুয়েন্স চলে আসে। নিজেদের সেলিব্রেটিদের আঁকার ক্ষেত্রে সেটা হয় না। একদম নতুন করে ভাবতে হয় ডিস্টরশন গুলো নিয়ে এবং নিজের মত করে ডিজাইন করা যায়।

সোলায়মান সুখন

হুমায়ুন আহমেদ

লাকি আখন্দ

তাহসান

রাবা খান

শাফিন আহমেদ



ক্যারিকেচার-১৮

ফেসবুকে আমার পেজ Arts By Rats এ কমিশন ক্যারিকেচার করতে শুরু করি ২০১৫ তে। আস্তে আস্তে এখন ক্যারিকেচারের আইডিয়া বেশ ভালই জনপ্রিয়। বিয়ে, গায়ে হলুদ, জন্মদিন, ফেয়ারওয়েল আরো হাবি জাবি নানান অকেশনের ক্যারিকেচার করা হচ্ছে ইদানিং! কমিশন ক্যারিকেচারে কিছু কাজে রেস্ট্রিকশন থাকে ফেস ডিসটর্শনে, আবার অনেক জায়গায় বেশ মজা করে কাজ করার সুযোগ থাকে বিভিন্ন থিম, অথবা ব্যাকগ্রাউন্ডের ডিজাইনের কাজে। রিসেন্টলি করা কিছু কাজ ব্লগে দিয়ে রাখছি।
















প্রতিটা ক্যারিকেচারের পেছনে এক এক রকমের গল্প আছে! অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়, তাদের প্রত্যেকের এক এক রকম আবেগের জায়গা থেকে তারা ক্যারিকেচারের কাজ করান। সেগুলো বুঝে তাদের পছন্দ মত ছবি এঁকে দেয়াটা একদিকে চ্যালেঞ্জিং আবার অন্য দিকে অসম্ভব স্যাটিসফাইং একটা ব্যাপার। এগুলো নিয়ে একদিন লেখা যাবে!

গোল্লাছুটের জিতু

প্রতি সপ্তাহে রবি সোম বারের দিকে মোটামুটি নিয়ম করে মোবাইলে একটা মেসেজ আসে-আসিফ ভাই...জিতু। গোল্লাছুটের সম্পাদক রিয়াদ এর রিমাইন্ডার পেয়ে মাথায় আসে আয় হায়-এই সপ্তাহের স্ট্রিপ তো আকা হয় নাই! প্রতিবার ই ভাবি জিতু এর গোটা দশেক স্ট্রিপ একবারে করে পাঠায় রেখে দেই, কিন্তু কাজের বেলায় দেখা যায় হাবি জাবি একশ কাজের মধ্যে ভুলে যাই আর করা হয় না। মেসেজ পাবার পর ভাবতে বসি এবং পাঠাচ্ছি ভাই, এইতো হয়ে গেছে, বুধবার পর্যন্ত একটু জায়গা রাখেন এসব করতে করতে একটা আইডিয়া দাঁড়া করে কমপ্লিট করে পাঠিয়ে দেই। এভাবেই চলছে জিতু স্ট্রিপ দেখতে দেখতে তিন বছর!

কিছু স্ট্রিপ ব্লগে দিয়ে রাখি।




বাচ্চাদের বই

ফেব্রুয়ারি এর কাজ আস্তে আস্তে শুরু হয়ে যাচ্ছে। বই মেলায় আমার খুব বেশি কাজ করা হয় না। এখন পর্যন্ত কাজ করা চিল্ড্রেন বুক হিসেব করলে দেখা যাবে বড়জোর তিন চারটা। বাচ্চাদের জন্য আঁকা অনেক কঠিন লাগে আমার কাছে। এখন পর্যন্ত আমার যত গুলো কাজে বাচ্চাদের মতামত নিতে গেছি সব গুলোতেই দেখা গেছে বাচ্চাদের টেস্টের সাথে আমার টেস্ট একদম ১৮০ ডিগ্রি উলটো। বাচ্চারা এনাটমি, কালার, কম্পোজিশন এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। আবার অবচেতন মনে এই জিনিসগুলো ঠিক ই বুঝতে পারে। ফলে বাচ্চাদের জন্য আঁকার বিষয়টা অনেক জটিল।

যাই হোক-এবার মেলার জন্য দুটো চিল্ড্রেন বুকের ইলাস্ট্রেশান এর কাজ করলাম। যদিও বই দুটোকে ঠিক বাচ্চাদের বলা যাবে না। কিশোর উপযোগী বই বলা যেতে পারে। দুটো বই তেই লেটারিং এ অনেক সাহায্য করেছে মাহাতাব। ভাল মন্দ কেমন দাঁড়াবে জানি না-কভার শেয়ার করে রাখলাম ব্লগে।