অক্টোবর ১২-১৩-১৪ ধানমন্ডি দৃক গ্যালারীতে হয়ে গেল বাংলাদেশ কার্টুন ফেস্ট ২০১৭।
এক্সিবিশনের তিন দিন যে কিভাবে চোখের পলকে কেটে যায়। প্রতিবছর একটা না একটা এক্সিবিশন উন্মাদ বা কার্টুনিস্ট এসোসিয়েশান থেকে দৃক এ থাকেই। প্রথম দিন ফ্রেম টানানো, ফিতা কাটাকাটি, শেষ মুহূর্তের প্রেস রিলিজ লেখা, কারো কার্টুন বাদ পড়ে যাওয়ায় একদম শেষবেলা এসে ফ্রেমের দোকানে দৌড়ঝাঁপ, সাংবাদিক, ফটোগ্রাফ আরো নানান সব ঘটনা। দ্বিতীয় দিন টা যায় আড্ডাবাজি, হাসা হাসি, গ্যালারীর মধ্যে চিল্লাপাল্লা, দৌড়াদৌড়ি ইত্যাদি অগ্যালারি সূলভ আচরন এর জন্য সিনিয়রদের ঝাড়ি, ফ্রেমের সাথে ছবি, বন্ধু বান্ধব্দের এক্সিবিশন দেখান এই সবে। আর শেষ দিন সবার একবার করে গ্যালারী ঘুরে যাওয়া, অনেকের সাথে অনেক দিন পর দেখা, নতুন কার্টুনিস্ট দের উকিঝুকি, ভবিষ্যতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ইভেন্টের প্ল্যান প্রোগ্রাম বাজেটিং, ফ্রেম নামান উঠান আর শেষ বেলা গ্রুপ ছবি তুলে দৃক এর সামনে মোড়টায় চা খাওয়ার সাথে আড্ডা। প্রতিবার এক্সিবিশনে বাড়তি থাকে শাহেদ ভাই আর তার দলের রুখসানা আর শ্রাবনের মেঘ। এবার দৃকের দোতলায় গানের আসরটা খুব মিস করলাম।
দৃক নাকি থাকবে না ২৭ এ। এই কথাটা শুনার পর থেকে মনটা খচ খচ করছিল। দৃক এ আসা যাওয়া বুয়েট ফটোগ্রাফি ক্লাবের সাথে শুরু করে কার্টুন ফেস্ট পর্যন্ত। অনেক অনেক হাসি গান আড্ডার বিকেল কেটেছে দৃকে। সব নাই হয়ে যাবে নতুন কোন অফিস, কমার্সিয়াল স্পেস, বার্গার এর হ্যাংআউট প্লেসের নিচে চাপা পড়ে। জানি দৃক নতুন কোন জায়গায় যাবে, সেখানেও আবার তৈরী হবে নতুন নতুন আড্ডার জায়গা, নতুন কোন চায়ের মোড়, নতুন কোন দেয়াল হেলান দিয়ে স্কেচবুকে যাচ্ছেতাই আঁকার। শেষ মেষ জায়গাগুলো টিকে থাকে না-টিকে থাকে স্মৃতিগুলো, টিকে থাকে মানুষগুলো। নতুন ঠিকানায় দৃক টিকে থাক, চলুক কার্টুন ফেস্ট, চলুক এক্সিবিশন। যাক না জীবন যাচ্ছে যেমন।
এক্সিবিশনের তিনটা ছবি ব্লগে।