চারপাশ খুব নির্জন, বেসমেন্টে বসে বাইরের গাড়ির আওয়াজ পাওয়া যায় শো শো। ভাগ্য ভাল আমার এক পরিচিত কাছের বন্ধু পেয়ে গেছি এই দূর দেশে। পাতাল থেকে বেরিয়ে আকাশের ট্রেনে চেপে চলে যাওয়া যায় ডাউনটাউন। চোখ ধাঁধান প্রাসাদ সমান বাড়িঘর, নীল আকাশ, গুটি গুটি পায়ে সিগনাল পেরুন ছোট্ট কুকুর, হাত ধরে হাটতে থাকা কপোত কপোতি, সবাই আছে নিজের মত। ইংরেজি দেশে এসে কানে ভেসে আসে সারা বিশ্বের আওয়াজ, শাঁই করে পাশ কেটে বেরিয়ে যায় একটা ল্যাম্বো, রোদের তাপটা খুব চোখে লাগে, ডাউন হিল হাটতে হাটতে ক্যামেরায় বন্দী করি আশ পাশ, ভীড়ের মাঝে খুজি একটা চায়ের আড্ডা, ভদ্রতার মুখোশ এটে নিস্পৃহ ভাবে হেটে চলছে সবাই-নিঃস্তব্ধতা ভেঙ্গে দেয় হোমলেস লোকটা চিৎকার, আকাশ বাতাস কাপিয়ে সে জানায় তার কাপড় সে ধুতে পারেনা এই দেশে-কেউ ফিরে তাকায় না। মাপ করেন বলে চলে আসার অভ্যাসটা বদলে অদৃশ্য হিসেবে ধরে নেওয়ার নতুন একটা অভ্যাস করে নিতে হবে।
দিনের আলো থাকে, কিন্তু রাত হয়ে যায়-আলো পড়তে পড়তে শহরটার মানুষ কমতে থাকে। দোকান পাট গুলির ভেতরে আলো আছে-কিন্তু মানুষ নেই। খাবার দোকান বন্ধ ন টায়-টেনে টুনে দশটা। তারপর নির্জন, শুনশান। মেট্রোটাউন স্টেশনে নেমে ক্রিস্টাল মল, তার ভেতর দিয়ে এক নগ্ন মারমেইড স্ট্যাচুর পাশ হেটে মোড়ে এসে ডানে ঘুরে যাও-মোবাইলে সিম নেই-গুগল ম্যাপের বদলে তাই মাইন্ড ম্যাপ ধরে দু দিন ফিরতে হয়। মিনিট বিশেক হেটে বাসায় ফেরার রাস্তা-একা একা কাজ করার অভ্যাস থাকলে খুব কাজের জায়গা। কেউ ডাকবে না, ফেরাবে না, সাধবে না কিছু। কানে হেডফোনে বাজুক বাংলা গান-প্রিয় আকাশী।
ব্লগর ব্লগর আজকে খুব একটা জমছে না-কিছু আকতে হবে।