সবার জন্য শুরুতেই ডিসক্লেমার দিয়ে রাখি এই পোস্টটা কেবল মাত্র ব্যক্তিগত প্রসেসিং এর উপর ভিত্তি করে লেখা। এখানে কালার থিওরি বা পেইন্টিং, লাইটিং এর নিয়ম নিয়ে খুব একটা আলোচনা করা হয়নি। সিম্পলি কিভাবে কালার করি সেই কাজের ধাপ গুলো বর্ননা করা হয়েছে।
০১। আমি সাধারনত সলিড ইংক ওয়ার্কের উপরে কালার করি। এখানে সেরকম একটা ড্রয়িং নেয়া হয়েছে শুভ এর আঁকা।
০২। প্রথমে লাইন ওয়ার্কের বাইরে ওয়ান্ড টুল দিয়ে ক্লিক করলাম। এরপর সিলেকশান ইনভার্স করে নিলে লাইন ওয়ার্কের ভিতরের অংশ সিলেক্ট হয়ে যাবে। নতুন একটা লেয়ারে (মাল্টিপ্লাই মোড) যেকোন কালার নিয়ে Alt key+ Backspace (ফিল শর্টকাট) দিয়ে ফিল করলাম।
০৩। এবার আমাদের ফিল লেয়ারের ট্রান্সপারেন্সি লক করে নেই। এটাতে যে
সুবিধাটা হবে সেটা হল আমি ইচ্ছামত ব্রাশ টানলেও এই সলিড কালার এর বাইরে কোন কালার
যাবে না। আপনি বাইরে কোন অংশ সহ সিলেক্ট করে ফিল করলেও আসলে কালার এর ভেতরের
অংশটাই ফিল হবে। যেমন ছবি তে দেখান হচ্ছে বাইরে সহ সিলেক্ট করলেও কালার ফিল হয়েছে
কেবল আমাদের প্রাথমিক লকড অংশের ভেতরেই।
০৪। কোথায় কোথায় শেড পড়বে লাইট সোর্স ধরে নিয়ে কিছু সিলেকশান করলাম। এবার
শেড কালার দেয়ার জন্য আমাদের স্কিন এর বেস কালার থেকে একটু ওয়ার্মের দিকে সরে
গেলাম এবং একটু স্যাচুরেটেড একটা ডার্ক কালার নিলাম। এরপর আবার ফিল।
০৫। লাইট দেয়ার জন্য আর একটা লেয়ার খুলি normal মোডে। এই লেয়ারে হাই লাইট অংশগুলি সিলেক্ট করে আমাদের বেস কালার থেকে একটু
কুলের দিকে একটা কালার নিয়ে ফিল করি।
০৬। এভাবে কালারিং এর সময় দুইটা মোড বোঝা বেশ জরুরী-Multiply and Normal. (এটা কিন্তু লেয়ারের মুড
না, টুলের আলাদা মোড সেট করা যায়, গ্রাডিয়েন্ট টুল সিলেক্ট করলেই উপরে অপাসিটি এর
পাশে মোড পাবেন) মাল্টিপ্লাই
মোডে আপনি যে টুল ই রাখুন না কেন সেটা আসলে নিচের লেয়ার বা কালারের সাথে ব্লেন্ড
হবে। যেমন এখানে আমি শেডেড অংশ গুলি সিলেক্ট করে গ্রাডিয়েন্ট টুল দিয়ে কিছু
গ্রাডিয়েন্ট ইফেক্ট দিব। গ্রাডিয়েন্ট টুলের অপাসিটি ৩০-৪০% এ রাখতে পারেন।
গ্রাডিয়েন্ট টুল আমি যদি মাল্টিপ্লাই মোডে রাখি তাহলে হালকা কালারের গ্রাডিয়েন্ট
দিলেও সেটা ডার্ক হয়ে যাবে নিচের কালারের সাথে মাল্টিপ্লাই হয়ে। আবার নরমাল মোডে
রাখলে নিচের কালারের উপরে কালারের শেড আকারে পড়বে। এটা লিখে বোঝান খুব কঠিন।
গ্রাডিয়েন্ট টুল নিয়ে ফটোশপে হাতে কলমে করে দেখলে বুঝতে পারবেন।
০৭। হাই লাইট লেয়ারে কাজ করার সময় গ্রাডিয়েন্ট টুলের মোড নরমাল দিয়ে
রাখলাম। এরপর ব্যাপারটা লাইট শেড নিয়ে মজা জাস্ট। খেয়াল রাখবেন একটা জিনিস লাইটের
পাশে ডার্ক দিলে সেটা যেমন ভাল দেখায় ডার্ক এর ভেতরে একটু লাইট দিলে সেটাও জমে
যায়।
কালারের সাথে ভ্যালু, ড্রয়িং, ফর্ম, লাইট শেড ইত্যাদি ইত্যাদি সব ই
আসলে জড়িত। কালার করার টেকনিক টা আসলে টার্শিয়ারি। হাজার হাজার উপায়ে কালার করা
সম্ভব। তাই বলব সবাই ড্রয়িং চালাতে থাকেন। বিভিন্ন টেকনিক প্রাক্টিস করতে করতে এক
সময় নিজের মত কালার করে ফেলতে শিখে যাবেন।
*কাস্টোম কালার হুইলটা
http://nerdchallenge.com/lenwhite/LenWhite.com/LenWhite.com/LenWhite.com.html
এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
*কাস্টোম কালার হুইলটা
http://nerdchallenge.com/lenwhite/LenWhite.com/LenWhite.com/LenWhite.com.html
এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
পড়ে নেই :)
উত্তরমুছুন