শনিবার, ১ জুলাই, ২০১৭

স্কেচলগ-নেপাল

অনেক দিন পর ব্লগে লিখতে বসলাম। বিভিন্ন কাজের মধ্যে সময় করে উঠতে না পারায় ব্লগে নিয়মিত পোস্ট করা হয় না। যাই হোক-লিখতে বসলাম স্কেচবুকিং নিয়ে। ভ্রমনের স্মৃতি হিসেবে ব্লগে ছবি লেখা ইত্যাদি লিখে রাখা।

ঈদের ছুটিতে (ইদ বানান টা এখনো হাতে আসেনি) এবার ঘুরে আসলাম নেপাল। নেপাল ভ্রমনের মূল আকর্ষন পোখারাতে যাওয়া হয়নি যদিও-সময় সল্পতায় নাগরকোট আর কাঠমান্ডূতে সংক্ষিপ্ত ৪ দিনের সফর করে ফিরলাম ঈদ শেষে।

জুন জুলাই সময়টা বর্ষার মৌসুম হওয়ায় নেপালে ট্যুরিস্টের সংখ্যা তেমন না এখন। মাঝে মধ্যেই নোটিশ ছাড়া বৃষ্টি চলে আসায় ঘুরা ঘুরির জন্যও সময়টা আদর্শ না। ঘুরতে যেয়ে তাই হোটেল, ট্যুরিস্ট স্পট সব কিছু খালি ই পেয়েছি বলতে গেলে। প্রথম দিন নাগরকোট থেকে পর দিন চলে আসি কাঠমান্ডূ থামেল এ। বাকি দুই দিন কাঠমান্ডূর আশপাশ ঘুরা ঘুরি শেষে দেশে ফেরত।

নেপালে স্কেচবুকিং করে কদিনে যা খেয়াল করলাম সেগুলো ছবির সাথে সাথে লিখে রাখি।




ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট। নানান দেশের নানা রকম ট্যুরিস্টের ভিড়। প্রথমবারের মত নেপাল ভ্রমন বলে অন এরাইভাল ভিসা ফি ছাড়াই ভিসা নিয়ে ইমিগ্রেশান পার হয়ে এয়ারপোর্ট ছেড়ে বের হয়ে পড়লাম।




নাগরকোটে মেঘ বৃষ্টিতে খুব একটা স্কেচবুকিং করতে পারিনি। কাঠমান্ডূ ফিরে থামেলে হোটেল খুজে উঠার পর প্রথম দিন কাছা কাছি গার্ডেন অফ ড্রিম আর দরবার স্কয়ার ঘুরে আসি। ভুমিকম্পে ভেঙ্গে যাবার পর দরবার স্কয়ার এর অনেক অংশেই প্রবেশ নিষেধ এবং অগোছালো অবস্থা এখনো। রিনোভেশান এর কাজ চলছে পুরোদমে।




পরদিনের ঘুরাঘুরি কাঠমান্ডূ এর টুরিস্ট স্পট গুলিতে-সম্ভূনাথ মন্দির, বৌদ্ধনাথ মন্দির, পশুপতিনাথ মন্দির এবং কোপান মনেস্ট্রি। সব জায়গাতেই অনেক কবুতর, নানা দেশের টুরিস্টের ভিড়, দোকান পাট আর ওম মনি পদ্মে হুঁ জপ। তবে শহর থেকে দূরে কোপান মনেস্ট্রি একটু আলাদা ধরনের ছিল। টুরিস্ট এট্রাকশন হিসেবে এখন বন্ধ করে দেয়ায় সেখানে মানুষের ভিড় ছিল না। বাইরে থেকে এসেছি বলে ভিতরে ঢুকে ঘুরে আসলাম সন্যাসী আশ্রমে। চুপ চাপ ঠান্ডা পরিবেশ-দূরে পাহাড়ের ভেতর শাদা মেঘ-দারুন জায়গা।






সবশেষে থামেল। বিভিন্ন দেশের ট্যুরিস্ট, বাজার ঘাট, নেপালি বিদেশি জিনিসপত্র, রিকশা, কাদা, হিপ্পি, রেসাং ফিরির গানের সুর, সিংগিং বৌল এর টুং টাং, কাশ্মিরি পশ্মিনি শাল, হাজার রকম রেস্টূরেন্ট, রাতের বেলা মোড়ে মোড়ে ডাকা ডাকি - সব মিলিয়ে খুব মজার একটা জায়গা। থামেল এর রাস্তা ঘাটে ঘুরে ফিরেই দারুন সময় কাটিয়ে দেয়া যায়।

স্কেচবুকটা নেপাল থেকেই কেনা। রাইস পেপার এর কাগজে আঁকা আঁকি নেপাল ভ্রমনের স্মৃতি হয়ে থাকল।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন