২০১৭ এবং সাম্প্রতিক কালে হলে যেয়ে যেসব সুপেরহের হলিউডি ছবি দেখেছি তার মধ্যে একমাত্র ভাল লাগা সিনেমা ওয়ান্ডার ওম্যান। কাহিনী, ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট, অ্যাকশান সব কিছু মিলিয়ে দারুন একটা ছবি। সেই সাথে এই ছবি দেখে একটা জিনিস শিখলাম। Cheesy/ Corny বা মশলাদার যাকে বলে, সে ধরনের অনেক এলিমেন্ট আমরা স্টোরি ডেভেলপমেন্টে এড়িয়ে যাই অতি নাটকীয়তার ভয়ে। তবে যেকোন গল্পে ক্যারেক্টার এর সাথে রিডার বা অডিয়েন্সের ইমোশনাল কানেকশান তৈরী এর ক্ষেত্রে এই নাটকীয় এলিমেন্ট গুলো একেবারে অত্যাবশ্যক। এই ছবিতে ওয়ান্ডার ওম্যান এর সংলাপ, ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট, অন্যান্য চরিত্রদের সাথে তার ইন্টার অ্যাকশান, অনেক জায়গাতেই অতি নাটকীয়তা আছে। তবে সেই নাটকীয়তাকে হাসি তামাশা করে খেলো করা হয়নি যেটা মার্ভেল এর অনেক ছবিতে করা হয়। প্রতি সিকোয়েন্সে জোক না করে অডিয়েন্সকে নাটকীয়তা টুকু উপভোগ করতে দেয়া হয়েছে যেটা ক্যারেক্টার এর ইউনিভার্স টাকে বুঝতে সাহায্য করে দর্শককে।
কিছু দিন আগে খেলা জাপানি একটা গেমের স্টোরি ডেভেলপমেন্টেও এটা খেয়াল করলাম যে অতি নাটকীয় কোন কিছু দেখাতে ভয় পাওয়া হয়নি। খুব সাধারন সাদা মাটা চরিত্রকে সংলাপ এবং নাটকীয় অ্যাকশনের মধ্য দিয়ে রীতিমত সুপার হিরো লেভেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোন ক্যারেক্টার হয়ত বুদ্ধিমান-তাকে বিভিন্ন জনের সংলাপের মধ্যে দিয়ে তুখোড় বুদ্ধিমান হিসাবে এস্টাবলিশ করা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে যখন ই সেই ক্যারেক্টার কে দেখান হচ্ছে দর্শক হিসেবে আমি তাকে বুদ্ধিমান হিসেবে ভেবে নিচ্ছি এবং তার ভেতরে অসংখ্য চিন্তা ভাবনা চলছে সেটা অনুভব করছি।
গল্প ভাবার সময় খুব র্যাশনালাইজ করে ফেলার চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা দরকার! যাই হোক-ওয়ান্ডার ওম্যান নিয়ে উন্মাদে ফিচার করার জন্য একটা ছবি আঁকা। সেটা পরে রঙ চং করে ব্লগে পোস্ট।
গল্প ভাবার সময় খুব র্যাশনালাইজ করে ফেলার চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা দরকার! যাই হোক-ওয়ান্ডার ওম্যান নিয়ে উন্মাদে ফিচার করার জন্য একটা ছবি আঁকা। সেটা পরে রঙ চং করে ব্লগে পোস্ট।
খুব ভাল লাগলো. learn English grammar in Bangla
উত্তরমুছুন