অনেক দিন বাদে ব্লগ খুললাম। ডায়রি হিসেবে কিছু দিন পর পর লেখা উচিত কিছু না কিছু। সময় কাটানোর থেকে সময় ধরে রাখার জন্যই লিখতে বসা। সময় কেটেই যায়-একা ঘরে বসে হিটার ছেড়ে নেটফ্লিক্সে, ফটোশপে, পেন ট্যাবে, স্কেচ খাতায়, মোবাইলে, ছোট থেকে ছোট তর ভিডিওতে উড়ে যায় ঘন্টা তিন। ঘন্টা তিনেকের ছবি দেখতে ক্লান্তি আসে কিন্তু ১৫ সেকেন্ডের বিন্দু বিন্দু শিশিরকনার মত করে সময়ক্ষেপন করা খুব সহজ। সে আলাপ আরেকদিনের-আজকে লিখতে বসার কারন হল রং।
সাদা-নাকি শাদা-বরফশাদা রঙ এর সাথে প্রথম পরিচয় হল আজকে আমার। কখনো বরফ দেখিনি-দেখিনি রাতে দেখা পাতা ঝরা গাছগুলির সকালে শাদা রঙ এর সাজ, দেখিনি কালকেও সবুজ থাকা মাঠে জমে ওঠা শাদার ভেতর কুকুরের পায়ের ছাপ, কোন দিন দেখিনি আকাশের শাদা রঙ মিশে গেছে বাড়ির চালে জমে থাকা শাদায়। তুলোর মত বরফ কথাটা পড়েছিলাম-আজ সেই কথাটা ধরে দেখলাম। হাফপ্যান্ট পরে কি তুষার দেখা যায়? খালি মাথায় একটা হুডি গায়ে চাপিয়ে স্যান্ডেল পায়ে দিয়েও তুষার দেখা যায়? নাকি ঐ পাট পাট করা জ্যাকেট গায়ে চাপিয়ে নিজের সিলুয়েট টাকে বিশালাকায় করে না তুললে তুষারে হাটা যায় না? এসব প্রশ্ন আর মাথায় আসবে না।
সব কিছু শাদা হয়ে যাক। রঙ এর ক্যানভাস মুছে যাক-একটা লাল জ্যাকেট ফুটে থাকুক শাদার ভেতরে। চারিপাশের নিত্যদিনের মনোটনি ভেঙ্গে যাক গুড়ি গুড়ি হোয়াইট নয়েজে। গাছের ডালে পাতার বদলে ফুটুক শাদা রঙ এর রিম লাইট। আর কাক গুলি উড়ে বেড়াক, বলে বেড়াক সবাইকে উইন্টার ইজ কামিং।
যাই ভাট না বকে ক্লাসের এসাইনমেন্ট শেষ করি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন