স্কুলে ভর্তি হয়ে গেলাম আবার এই ত্রিশ দশকে। অনেকদিন বাদে আবার ক্লাস, হোমওয়ার্ক, এসাইনমেন্ট, প্রজেক্ট, ক্লাস লেকচারের খাতা, কলম। পড়া শুনার এই ধরনটা অবশ্য আগের থেকে একদম আলাদা-হাতে কলমেই মুল পড়ালেখার কাজ চলছে। ক্যাম্পাসে ক্লাসে ল্যাবে সফটওয়্যারের হাতেখড়ি পর্যায়েই আছি এখনো। নতুন করে এই ক্লাস শুরু করে নতুন কিছু উপলব্ধি আসল নিজের মধ্যে। যেমন সব দেশে সব ক্লাসেই কিছু ছেলে পেলে থাকে ব্যাকবেঞ্চার, কিছু ফ্রন্ট লাইনার, কিছু ন্যাচারাল লিডারশিপ, কিছু ডেডিকেটেড হার্ড ওয়ার্কার। কয়েকজন আছে সব কাজ সবার আগে শেষ করে ফেলব, কিছু থাকবেই জমার আগের দিন করতে বসে কাজ তুলে ফেলছে। কারো লক্ষ্য নিজের ভিশনে পৌছতে যা দরকার তা করে ফেলি, কেউ চায় ডেডিকেশন নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করে নিখূত কাজ। কলেজ ক্যাম্পাসের আড্ডা লেখা পড়া নিয়েই, তার বাইরের আলাপ বুঝতে পারা আমার জন্য এক চ্যালেঞ্জ। সদ্য স্কুল পাশ ভিনদেশি কালচারের বিশ দশকের সাথে ক্লাস লেখাপড়ার সাবসেট টুকুই আলোচনার সম্বল। তবু সব মিলিয়ে নিজের পড়া শুনার কাজটা টুক টাক গুছিয়ে নিচ্ছি।
হাউসমেট দের সাথে হ্যালো গুডমর্নিং, বাড়িতে ফোন দিয়ে দুপুর বেলায় গুডনাইট, সন্ধ্যা বিকালে মাঠে দৌড়নো বা জিমে ঘাম ঝরানো, বাসে করে সপ্তাহের বাজার নিয়ে ফেরা-এই মিলিয়ে দিন কাটছে। পরীক্ষামূলক রান্না করি, নিজের কাছে নিজেকে টেনে টুনে পাশ করাই। ঠান্ডার দিন গুলোতে ইচ্ছে হয় একটু আলসেমি করি, কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকি, ধোয়া ওঠা খিচুড়ি খাই। তখন ই মনে পড়ে এসাইনমেন্ট জমার দিন কালকে, সকাল নাগাদ বৃষ্টি পড়তে পারে- তার আগেই বাজার টা ঘরে তোলা দরকার, লন্ড্রী বাস্কেটে কাপড়ের পাহাড়, ফ্রিজের টাপারওয়্যারের বক্স ঠন ঠন। তাই টেনে তুলে নিজেকে পড়ার টেবিলে বসাই। মায়া সফটওয়ারের বোতাম চাপি, রান্না চড়াই, আর কানে গুজে রাখি হেডফোন।
আজকে একদম ভাবনা চিন্তা ছাড়া এলোমেলো লেখা। ভিডিও বানাবার প্ল্যান করছি কিন্তু করে ওঠা হচ্ছে না। কত কী করার ছিল যে-অঞ্জন বলে গেছেন ঠিক ই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন