প্রথম আলো গোল্লাছুটে জিতু স্ট্রিপ প্রায় আড়াই বছর পার করে ফেলল। ২০১৪ সালের শেষের দিকে শুরু করেছিলাম-সেদিন গুনে দেখলাম প্রায় ৭০ টার মত স্ট্রিপ জমেছে। এর মাঝে একবার মেলায় জিতু আর দাদু নাদু মিলে একটা স্ট্রিপ কালেকশান ও বের হয়েছিল। স্ট্রিপ আঁকার কিছু অভিজ্ঞতা লিখতে বসলাম ব্লগে।
প্রথম দিকে স্ট্রিপ করতে নানান রকম সমস্যায় পড়তাম। যা যা গল্প মাথায় আসত সব গুলোই মনে হত এইটুকু জায়গায় ৪-৫ ফ্রেমে আঁটাব কিভাবে। কুইক ফান বা স্ট্রিপের যেধরনের আইডিয়া দেখি সেগুলো মাথায় আসত না। তার মধ্যেই জোড়াতালি দিয়ে শুরু করেছিলাম জিতুর গল্প। একদিকে গল্প নিয়ে ভাবনা-আর এক দিকে আঁকার স্টাইল কিরকম হবে সেটা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা। বছর খানেক জিতু আর দাদু নাদু অল্টারনেট শুক্রবারে করে বের হত গোল্লাছুটে। ২০১৬ এর দিকে মেহেদি ভাই আঁকা বন্ধ করেন দাদু নাদু। মাথায় হাত-প্রায় প্রতি সপ্তাহে একটা করে স্ট্রিপ আইডিয়া করা। বসে বসে হাত কামড়াই-কেলভিন হবস পড়ি-বেসিক আলির পাতা উল্টাই-প্রতিদিন এমন দারুন সব আইডিয়া নিয়ে অনর্গল এঁকে যাচ্ছেন শাহরিয়ার ভাই-আর আমি সপ্তাহান্তে একটা আঁকতে হিমশিম খাচ্ছি-হাজারো চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়। তার মধ্যে রিয়াদ ভাই এর মেইল-ভাই জিতু চাই!
স্ট্রিপে অনেক কিছু এক্সপেরিমেণ্ট করেছি, করছি। একটা গল্প নিয়ে কন্টিনিউ করা, বিভিন্ন নতুন ক্যারেক্টার ইন্ট্রো করা, ধারাবাহিক ভাবে গল্প টেনে নিয়ে যাওয়া, কোন অকেশান মাথায় রেখে গল্প বানানো- সব এক্সপেরিমেন্ট সফল হয়নি, পুরোপুরি বিফলেও যায়নি। এখন মোটামুটি ভাবে আইডিয়া করে উঠতে পারি স্ট্রিপ এর-কিন্তু গল্প এর দিক দিয়ে তলানির দিকে পড়ে আছি।
যাই হোক-৭০ স্ট্রিপ বাদে জিতু এখানে এসে দাঁড়িয়েছে। মেলায়, অনুষ্ঠানে ঢাকা কমিকের বা গোল্লাছুটের স্টলে এসে বাচ্চারা জিতুকে চিনতে পারে, জিতু এর বই এর খোঁজ করে। এটুকুই বা মন্দ কী!
|
জিতু ১ |
|
জিতু ৭০ |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন