Hi this is Asifur Rahman aka Arts by Rats (artsbyrats if you prefer)! I am a freelance artist from Bangladesh. I mostly draw characters, comic books and concept art. I know-sounds like a jack of all trades and master of none which in fancy terms can be called a generalist. But I just love digital art and I am always looking for new avenues to explore and incorporate into my art! Welcome to my blog!
বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫
বড় আমি-ছোট আমি-০১
কয়েকদিন আগে গেম খেলার ভুত চাপল মাথায়-পি এস ৪ কিনে ফেললাম। কিনে সেট আপ করে গেম টেম জোগাড় করে মাথায় আসল যখন কলেজে পড়তাম একটা কনসোল ছিল পুরো স্বপ্ন টাইপের ব্যাপার। কতদিন টেন স্পোর্টস এ গেম নামে একটা শো দেখতাম কনসোলের গেমপ্লে দেখার জন্য। ইন্টারনেট ইউটিউব নেই-ভরসা ঐ এক টিভি শো-সোমবার দুপুর ১১ টায়। দেখতাম আর কত কি যে ভাবতাম। সেই কথা বার্তা ভাবতে ভাবতে মাথায় আসল এখন কনসোল কিনলাম, রুমে টিভি লাগালাম, গেম জোগাড় করলাম-কিন্তু সেই গেম খেলার স্পিরিট তো আর নেই। চাকরি, কাজকাম ইত্যাদি ইত্যাদি করে কত খানি সময় পাই গেম খেলার? ঠান্ডা মাথায় করার জন্য অনেক কিছুতেই সময় নেই আসলে এখন। একসাথে দেখা যাচ্ছে সব সময়ই দুই তিনটা কাজ করছি-এই গেম খেলতে খেলতে ফেসবুক, সিরিয়াল দেখতে দেখতে ড্রয়িং, খেতে খেতে বই পড়া-দিন দিন ছকে বাঁধা হয়ে যাচ্ছে সব। আগডুম বাগডুম অনেক্ কিছু ভাবতে ভাবতে দেখলাম টিন এজ বয়সের আমি আর এখনকার আমি-দুই জনের জীবনে ব্যাপক ফারাক। এই ফ্যান্টাসি নিয়েই এঁকে ফেললাম একটা এক বক্স কথোপকথন আজকের আমি আর সেই কিশোর আমির মধ্যে। একটা করার পরে মাথায় আসল সেই ছেলেবেলার আমার সাথে আজকের আমার দেখা হলে তাদের কথা বার্তা কেমন হত? এই চিন্তা থেকে শুরু করলাম একটা সিরিজ-কথোপকথন-আমি আর আমার টিনএজ বয়সের মধ্যে। প্রথম পোস্ট গুলি ব্লগে দিয়ে রাখি।
শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫
Cintiq
পাইলাম আমি ইহাকে পাইলাম মোমেন্ট! ছবি আঁকা শুরু করার পর থেকে যেই ডিভাইসটার প্রতি খায়েশ ছিল তা হচ্ছে একখানা সিন্টিক। কত শত দিন যে কেটে গেছে সিন্টিক এর রিভিউ দেখে, সিন্টিকের বিকল্প খুজে, এমাজনে সিন্টিক এর কাস্টমার রিভিউ পড়ে, গুগল হাতড়ে দাম দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে তার কোন হিসেব নেই। একদিন কথা হচ্ছিল এক বন্ধু এর সাথে, কথা প্রসংগে এসে পড়ল অক্টোবর মাসের জন্য সে আমেরিকা ঘুরতে যাচ্ছে তার ভাইয়ের বাসায়। শোনা মাত্র মাথায় আবার চাপল পুরনো ভুত। খ্যাপ থেকে জমান কিছু টাকা, সাথে ধার দেনা করে একটা Refurbished Cintiq Hybrid এর টাকা জোগাড় করে দিয়ে দিলাম ওর হাতে। পরে যেয়ে দেখা গেল সেই মডেল স্টক আউট-আবার পালটে একটু বেশি দাম দিয়ে কিনতে হল। যাই হোক-সব ঝামেলা শেষ করে অবশেষে অক্টোবর মাসের ৩০ তারিখ হাতে পেলাম Cintiq খানা! নেড়ে চেড়ে বেশ জটিল সেট আপ প্রসেস বুঝতে গেল ১ দিন। এরপর কাজে হাত দিয়ে বুঝলাম বিনিয়োগ বৃথা যায়নি! যে জিনিসগুলো কাজে দিচ্ছে আমার সেগুলো হলঃ
০১। সরাসরি আকার সুবিধা। গ্লাস টা ম্যাট হওয়ার আকার সময় কাগজে আকার মতই মনে হয়।
০২। হাত চোখের কো অর্ডিনেশান অনেক ন্যাচারাল।
০৩। একটা ছবিতে আস্তে আস্তে সময় দেবার সুবিধা।
অসুবিধা এখন পর্যন্ত একটা যেটা পেলাম সেটা হচ্ছে জুম ইন আউটের কোন রিং নেই। তবে আমার মডেল টা ২০১৩ এর-২০১৫ মডেলে এটা আপডেট করেছে সম্ভবত।
এখন পর্যন্ত এই-সামনে আরো আপডেট আসবে সিন্টিক নিয়ে!
০১। সরাসরি আকার সুবিধা। গ্লাস টা ম্যাট হওয়ার আকার সময় কাগজে আকার মতই মনে হয়।
০২। হাত চোখের কো অর্ডিনেশান অনেক ন্যাচারাল।
০৩। একটা ছবিতে আস্তে আস্তে সময় দেবার সুবিধা।
Cintiq এ আঁকা একটা ফাও ছবি |
এখন পর্যন্ত এই-সামনে আরো আপডেট আসবে সিন্টিক নিয়ে!
শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
রূপকথা কমিক
কমিক দূঃখী রাজকন্যার গল্প নিয়ে আগে এক দিন কথা বলেছিলাম। অনেক আলসেমি গড়িমসি করে সেই কমিক শেষ করলাম-বেশ কয়েকজনকে দিয়ে পড়িয়ে রিভিউ ও করালাম। এর মধ্যে আকান্তিসে কমিকের এক পেজ দেখে সিমু ভাই বললেন এটা কিশোর আলো তে দেয়া যায় নাকি। পাঠিয়ে রাখলাম কমিক তারপরে অবশেষে সেপ্টেম্বর ২০১৫ কিশোর আলো তে প্রকাশিত হয়ে গেল ৩২ পেজের পুরো গল্প। স্ন্যাপশট ব্লগে দিয়ে রাখলাম। সামনে এমন আরো কিছু করার ইচ্ছে আছে। আবার বুঝতেছি কমিকে গল্পটাই আসল।
মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
ব্যায়াম
খুলনায় কলেজে থাকতে এক জিমে ব্যায়াম করতাম। এখনো মনে আছে কম্পিউটার কোচিং শেষ করে রিকশা নিয়ে শিববাড়ি মোড়, হোটেল মিলেনিয়ামের নিচতলার ছোট্ট এক রুমের জিমটা। সেই জিমে না ছিল ইন্সট্রাকটর, না ছিল অনেক ইন্সট্রুমেন্ট। দুই এক জন বড়ভাই দেখিয়ে টেখিয়ে দিতেন, হাবি জাবি ডন বৈঠক মারলাম মাস চারেক তারপর বন্ধ হয়ে গেল। ঢাকায় এসে প্রথম প্রথম থাকতাম মোহাম্মদপুর। আবার ব্যায়ামের ভুত মাথা চাড়া দিল, ভর্তি হয়ে গেলাম জিমে। এবারের জিম বড়সড়, এবারের জিমে স্পা আছে, এবারের জিমে আছে ইন্সট্রাকটর। তবে সমস্যা হয়ে গেল ধানমন্ডি জিগাতলার এই জিমের সাথে লাগোয়া ইয়াম ইয়াম নামে একটা ফাস্টফুডের দোকান ও ছিল। জিম করে নেমে বার্গার আর কোক খেতে খেতে দেখলাম জিমটা করে তেমন সুবিধা হচ্ছে না। দিলাম ছেড়ে। আজিমপুরে এসে ওঠার পর বুয়েটের জিমে চলল মাস দুয়েক ব্যায়াম। কিন্তু আলসেমি ইত্যাদি ইত্যাদি করে আর হয়ে উঠল না।
বাসার পাশের গলিতেই ক'দিন আগে এক জিমের খোজ পেলাম। পুরনো জিম প্রীতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠল-নতুন উদ্যমে শুরু করে দিলাম। দেখা যাক এবার ক দিন যায়!
আকান্তিস-হিরো
আঁকান্তিসে Heroweek চলতেছে-সবাইকে নিজের ছেলেবেলার হিরো কে আঁকতে হবে। ছোটবেলার হিরোদের কথা যখন ভাবতে বসলাম একসাথে অনেক গুলো নাম মাথায় চলে আসল। একবার রবিন হুডের সাথে ঘুরে আসছি শেরউডে, তো কিছু ক্ষন পরেই আবার সিনবাদের সাথে যাদুকর ডিমডিমের দ্বীপে, এর মধ্যেই ফেলুদা ডাক দিচ্ছে গ্যাংটকে গন্ডগোল সামলাতে। একবার ভাবছি আলিফলায়লার খারাপ আত্মা ডাইনি এর মোকাবেলা কিভাবে করব, পরক্ষনেই আর্থ ফাইনাল কনফ্লিক্টে জড়িয়ে পড়ছি এলিয়েন দের সাথে। প্রফেসর শংকু এর সাথে তিব্বতে যাব নাকি টিনটিনের সাথে নামব হাঙ্গর হ্রদের রহস্য ভেদ করতে, চাচা চৌধুরী এর মগজ বেশি শক্তি ধরে নাকি হারকিউলিসের বাইসেপ, সিম্বা দা লায়ন নাকি টারজান আর জর্জ অব দা জঙ্গল-ধুত্তুরি সব ছেড়ে ছুড়ে ডেনিস দা মিনেস এর সাথেই বাঁদরামি করেই তো সময় কাটিয়ে দেয়া যায়!
অসংখ্য ক্যারেক্টার, হাজার হাজার গল্প, কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলব? যাই হোক-ছোটবেলার কথা ভাবলেই মনের মধ্যে এক পশলা আনন্দ ঝিক মিক করে উঠে। শুরু করলাম আঁকা সিন্দাবাদ দিয়ে-সপ্তাহ জুড়ে চলবে স্মৃতিচারন!
অসংখ্য ক্যারেক্টার, হাজার হাজার গল্প, কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলব? যাই হোক-ছোটবেলার কথা ভাবলেই মনের মধ্যে এক পশলা আনন্দ ঝিক মিক করে উঠে। শুরু করলাম আঁকা সিন্দাবাদ দিয়ে-সপ্তাহ জুড়ে চলবে স্মৃতিচারন!
শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫
কমিক ফ্লো
স্ক্রিপ্ট সহ প্যানেল কাট-ম্যাঙ্গা থেকে |
পেন্সিলিং-ফটোশপে |
ইংকিং-পেন্সিল টাইপের একটা ব্রাশে |
সাউন্ড ইফেক্টস |
কালারিং |
টাইটেল, লেটারিং |
বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৫
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)