বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮

অনলাইন ক্লাশ-৫

অনলাইন ক্লাশ সিরিজের পঞ্চম পর্বঃ

৫ম সপ্তাহঃ

স্কেচ, ভ্যালু এর পর কালার নিয়ে প্রথম সপ্তাহ। কালারের কিছু টিপস পেলাম যেগুলা আসলে এই অল্প সময়ে এখনো হাতে এসে পারেনি। সামনে এগুলো নিয়ে আরো এক্সপেরিমেন্ট করলে বুঝতে পারব।

কী পয়েন্ট গুলো লিখে রাখিঃ

০১। আমরা ফটোশপে কালার করার সময় সাধারনত H-S-B স্লাইডার ব্যবহার করি। আর একটা স্লাইডার আছে পাশেই L-A-B স্লাইডার। এই স্লাইডারের A মুডে দিয়ে কালার পিক করতে গেলে যেটা মজার জিনিস পাওয়া যায় সেটা হল-সিলেক্টেড কালারের ডানে গেলে ঐ কালারের ওয়ার্ম শেড আর বামে কুলার শেড পাওয়া যায়। এটা একটা মজার জিনিস যেটা ওয়ার্ম কুল শ্যাডো বা হাইলাইট কালার চিনতে কাজে দিবে।

০২। Adobe Kuler প্লাগ ইন দিয়ে অনেক কুইক কিছু রাফ কালার স্কিম পাওয়া সম্ভব। এটা এখন অবশ্য প্লাগ ইন আকারে আর নেই-color. adobe ওয়েবসাইটে দেখা যায়।

০৩। কালার করার আগে একটা কালার প্যালেট বানান এবং নিজেকে প্যালেটে রেস্ট্রিক্ট করা। প্যালেট কালার বানাবার সময় এখানেও ৮০-২০ রুল ফলো করা যেতে পারে যেখানে ৮০% এক ধরনের কালার এবং ২০%  ভিন্ন যাতে সেটা পপ করে ছবিতে। আরো একটা জিনিস করা যায় একদম অড একটা কালার আনা যেটা পুরো প্যালেট থেকে স্ট্যান্ড আউট করবে। কোন ছোট সাবজেক্ট কে আলাদা করতে এটা আনা যেতে পারে।

০৪। ওয়ার্ম হাইলাইট বা কুলার হাইলাইট দুইটার ই ইন্টেনসিটি বাড়াবার জন্য পাশে স্যাচুরেটেড ওয়ার্ম বা কুল কালারের একটা রিং তৈরী হয়।

০৫। এনভায়রন্মেন্ট কালার সব সময় ছবিতে ব্লিড ইন করবে। পাশে আকাশ থাকলে শ্যাডো তে কুল কালার ঢুকে পড়বে। হাইলাইট থাকলে ওয়ার্ম কালার ঢুকে পড়বে সিলুয়েট শেপের ভেতর। 

০৬। কালার প্যালেটের সময় নিজেকে রেসট্রিক্ট না করা-গোলাপি আকাশ, লাল মাটি, হলুদ পাতা যাচ্ছেতাই অনেক রকম ভ্যারিয়েশান কালার নিয়ে প্যালেটে জাজ করা কোনটা কাজ করছে কোনটা করছে না।

০৭। যেকোন কালার পিক করে সেটাকে একটা কিউবের তিন সাইডের কালারে ভাবা-একটা দারুন এক্সারসাইজ কালার বুঝার জন্য। যদি কিউবে শ্যাডো হাইলাইট কালার দেখে থ্রিডি ফর্ম বুঝা যায় তাহলে সেটা ছবিতে এপ্লাই করলেও মানাবে।

এ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ছিল ৬ টা কালার স্টাডি প্যালেট ডেভেলপ করে।







অনলাইন ক্লাশ-৪

অনলাইন ক্লাশ সিরিজের চতুর্থ পর্বঃ

৪র্থ সপ্তাহঃ

এ সপ্তাহে ক্লাস ছিল ভ্যালু পেইন্টিং এর উপরে। ভ্যালু এর সম্পর্কে প্রথম পর্বে বেশ কিছু লিখেছি। এখানে নতুন যে কী পয়েন্ট গুলো বুঝলাম সেগুলো লিখে রাখি।

০১। ভ্যালু পেইন্টিং এ শুরু থেকে নিজেকে একটা লো ভ্যালু রেঞ্জে রেস্ট্রিক্ট রাখা জরুরী। ছবি এর ম্যাক্সিমাম কাজ ২০-৮০ এই ভ্যালু এর মধ্যে করে ফেলা সম্ভব। তারপরে একদম শেষে রেখে দেয়া উচিত সব থেকে ডার্ক আর সব থেকে ব্রাইট ভ্যালু। 

০২। ছবিতে টেক্সচার আনতে যেয়ে নয়েজ যেন চলে না আসে। যেকোন কিছু পেইন্টিং এ এপ্লাই করার আগে ভাবা দরকার কম্পোজিশনে এটার ভুমিকা কী এবং যদি সেটা দরকার না হয় তাহলে যত রেন্ডার করতেই ইচ্ছা করুক সেটাকে এভয়েড করা।

০৩। এক্সট্রিম লাইট সাধারনত ভিউয়ার কে আমরা যেদিকে লিড করতে চাই সেখানে এপ্লাই করা ভাল।

০৪। থাম্বনেইল পেইন্টিং এ হার্ড ব্রাশ ব্যবহার করে চেষ্টা করতে হবে যত বড় শেপে কম্পোজিশোন লক করা যায়।

এ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ছিল আগের ৬ টা থাম্বনেইলের ভ্যালু পেইন্টিং এবং একই সাথে নতুন ৩ টা ভ্যালু থাম্বনেইল নিজের ইচ্ছা মত।




অনলাইন ক্লাশ-৩

অনলাইন ক্লাশ সিরিজের তৃতীয় পর্বঃ

৩য় সপ্তাহঃ

এ সপ্তাহের ক্লাস ছিল ফর্ম ল্যাংগুয়েজ। যেকোন এনভায়রনমেন্ট বা এলিমেন্ট বা ক্যারেক্টার ডিজাইনে প্রথম স্টেপ ফর্ম ল্যাংগুয়েজ নিয়ে স্টাডি। এটা সিলুয়েটে হতে পারে-হতে পারে লাইন আর্টে-এমন কি ছোট কালার স্টাডি তেও হতে। তবে সব গুলোতেই ওভার অল ফর্ম এবং তার ভ্যারিয়েশন নিয়ে ভাবতে হবে।

এ সপ্তাহের কী পয়েন্টঃ

০১। ফর্মের ভ্যারিয়েশনের জন্য কালচার, ভিজুয়াল লাইব্রেরি, গ্রাফিকাল শেপ এগুলো নিয়ে প্রথমে রেফারেন্স ঘাটতে হবে।

০২। ফর্মের সাথে এডিটিভ, সাবট্রাকটিভ, মাল্টিপ্লিকেটিভ বা ডিভাইসিভ যেকোন ভাবে ভ্যারিয়েশান আনা সম্ভব। এর মানে হল একটা ফর্মের সাথে আর সেম ফর্মকে জোড়া লাগান-সেখান থেকে কিছু বাদ দেয়া-রোটেট করা-রিপিট করা-ছোট বড় করা-এসব নানা টেকনিকে একটা ফর্ম থেকেই আরো বেশ কিছু ফর্ম আনা যায়।

০৩। ফর্ম ডিজাইনের আগে কয়েকটা সিম্পল শেপে নিজেকে রেসট্রিক্ট করে নেয়া ভাল।

০৪। ফর্ম ডিজাইনের সময় ফর্মে লাইট শ্যাডো সহ ভাবা ভাল। এতে কোথায় শার্প টার্ন নিচ্ছে বা কোথায় সফট এজ হচ্ছে সেগুলো ডিজাইনে চলে আসে।

০৫। ডার্ক ভ্যালু ব্যবহারে দেখা যায় একটা ভয় কাজ করে কিন্তু এটা ফর্মে খুব বেসিকে চিনতে শেখায় এবং এটার প্র্যাকটিস করা উচিত।

এই সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ছিল যেকোন এলিমেন্ট নিয়ে ভেবে সেটার ১৫ টা ফর্মের ভ্যারিয়েশান ভাবা। এটা করতে গেলে দেখা যায় ৪-৫ টা করার পর আর মাথায় আসতে চায় না। কিন্তু এই প্র্যাকটিস টা চালু না রাখলে আসলে ডিফারেন্ট ডিজাইন পাওয়া সম্ভব না।




অনলাইন ক্লাশ-২

অনলাইন ক্লাশ সিরিজের দ্বিতীয় পর্বঃ

২য় সপ্তাহঃ

এ সপ্তাহে ক্লাস ছিল থাম্বনেইল ডিজাইন আর পার্স্পেক্টিভের উপর। এ সপ্তাহের কী পয়েন্টঃ

০১। টু পয়েন্ট পার্স্পেক্টিভে একটা পয়েন্ট ফ্রেমের এজ এর কাছে আর একটা দূরে রাখলে ন্যাচারাল আই ভিউ পাওয়া যায়। আর যদি দুইটাই ফ্রেমের এজ এর কাছাকাছি হয় তাহলে ডিস্টর্টেড বা ফোর্সড একটা ভিউ পাওয়া যায়। লং শট এর ক্ষেত্রে দুইটাই ফ্রেমের অনেক বাইরে থাকে।

০২। কম্পোজিশনে ৭০-৩০ রুল ব্যবহার করা। ফ্রেমকে ৫০-৫০ ডিভিশন করা অনেক বোরিং দেখায়। একই সাথে যদি কাছা কাছি সাইজের দুই তিনটা অবজেক্ট থাকে তাহলে দেখা যায় তারা ভিউয়ার এর এটেনশানকে ভাগ করে নেয়। কিন্তু আমরা যদি চাই কোন অবজেক্টে এটেনশান ফোকাস করতে তাহলে সেটার সমান সাইজের অন্য কোন কিছু কম্পোজিশনে না রাখা ভাল।

০৩। হেলপফুল একটা টিপ-যেকোন এনভায়রন্মেন্ট ডিজাইনের আগে একটা টপ ডাউন ম্যাপ বানান এবং ম্যাপে এরিয়া আইডেন্টিফাই করা। ভ্যারিয়েশান গুলো উপর থেকে ঠিক করা এবং পুরো এনভায়রনমেন্ট কে ইউনিফাই করার কিছু এলিমেন্ট এই স্টেজেই ভেবে রাখা।

০৪। এনভায়রনমেন্ট ডিজাইনে রিপিটেশান খুব গুরুত্বপূর্ন। একই অব্জেক্টকে বিভিন্ন ভাবে-বিভিন্ন সাইজে-বিভিন্ন ভ্যালুতে-বিভিন্ন প্রোপর্শনে ব্যবহার খুব কাজে দেয়। এটা করলে ছবিতে ডেপথ আনা যায় এবং এনভায়রন্মেন্টের এস্টাবলিশমেন্ট হয়।

০৫। এনভায়রনমেন্ট আকতে শুরুর আগে পার্সেপেকটিভ গ্রিড স্কেচ মাস্ট। এটা ফলো করি বা না করি টুইস্টেড পার্সপেক্টিভে আকতেও এটা করে নেয়া দরকার।

০৬। আইসোমেট্রিক ভিউ একে নেয়া যেকোন এনভায়রনমেন্ট ডিজাইনে খুব হেল্পফুল।

০৭। ইম্পর্টেন্টঃ থাম্বনেইলে সাধারনত আমরা ভিউয়ার এর চোখ কে একটা লোকেশনে লিড করতে চাই। এই পথের শেষে থাকে সাধারনত পে অফ-যেমন কোন টাওয়ার-কোন লোকেশন-কোন দোকান পাট যা ইচ্ছা হতে পারে। এই চোখ কে লিড করার পথটা একদম সাদামাটা না হয়ে সেটার ভেতরে উচি নিচু-অবস্ট্রাকটিং এলিমেন্ট-ওভারল্যাপ আনলে ইন্টারেস্ট বাড়ে ভিজুয়ালি।

এই সপ্তাহে এসাইনমেন্ট ছিল টপ ডাউন ম্যাপ ডিজাইন করে সেখান থেকে ৬ টা থাম্বনেইল আকা ম্যাপের ভেতরের লোকেশনের।



অনলাইন ক্লাশ-১

কিছুদিন আগে একটা অনলাইন কোর্সে রেজিস্টার করলাম। cgmasteracademy.com এ ফান্ডামেন্টাল অফ এনভায়রনমেন্ট ডিজাইনে ভর্তি হবার পরে ক্লাস শুরু হল জুলাই এর ২৩ তারিখের দিকে। ৮ সপ্তাহের কোর্স-প্রায় ৫ সপ্তাহ হতে চলছে। অনলাইন কোর্স টা করার উদ্দেশ্য ছিল নিজের প্রসেস গুলো অন্যদের সাথে যাচাই বাছাই করা এবং কিছু ফিডব্যাক পাওয়া নিজের কাজ সম্পর্কে। 

অনলাইনে লেকচার, লাইভ ক্লাস, ফিডব্যাক সেশন, এসাইনমেন্ট এগুলোর ব্যস্ততার সাথে সাথে নিজের কাজ, অফিস সামলে ব্লগে অনেক দিন কিছু লেখা হচ্ছে না। ভাবলাম অনলাইনে ক্লাসের কিছু শেখা কি পয়েন্ট আকারে নিজের ব্লগে লিখে রাখি নইলে দেখা যাবে নিজেই ভুলে যাব কদিন পর।

প্রথম সপ্তাহঃ

 প্রথম সপ্তাহে কাজ ছিল সাদাকালো ছবি দেখে নিজের মত করে সেটার ভ্যালু পেইন্টিং করা। এবং এটা করার সময় প্রত্যেক স্টেপে কি কি ভাবছি সেগুলো নোট ডাউন করা। করতে যেয়ে যা যা শিখলামঃ

০১। ছবিতে ওভার কমপ্লিকেটেড শেপস এড়ান।

০২। পারলে লেয়ার মেইন্টেইন করা ফোরগ্রাউন্ড ব্যাকগ্রাউন মিড গ্রাউন্ডের।

০৩। এটমোসফিয়ার এড করে ব্যাকগ্রাউন্ড এলিমেন্ট কে আরও দূরে সরান। এটমোসফিয়ার এড করা মানে দেখা যায় গ্রাউন্ড লেভেলের কাছা কাছি হালকা ফগ বা ডাস্ট এর ইফেক্ট যোগ করা।

০৪। সব থেকে ইম্পর্টেন্টঃ ভ্যালু রেঞ্জ সিলেক্ট করা। সব থেকে কাছের এলিমেন্ট আমরা সাধারনত ডার্ক করি। আর দূরে গেলে হালকা করতে থাকি। এর সাথে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে কাছের এলিমেন্টে কনট্রাস্ট বেশি থাকবে এবং দূরে গেলে কমতে থাকবে। মানে কাছের এলিমেন্টে হাইলাইট ও ব্রাইট শ্যাডো ও একদম ব্ল্যাক অর্থাৎ ভ্যালুর রেঞ্জ হাই-কনট্রাস্টিং ভ্যালু। কিন্তু দূরে গেলে তাদের ভেতরে ভ্যালু রেঞ্জ কমতে থাকবে।

০৫। টেক্সচার ব্রাশ আন্দাজে দাগ চালালে কাযে দিবে না। বড় সাইজের টেক্সচার ব্রাশ দিয়ে দুই এক টান দিয়ে তারপরে সেটাকে বেজ করে নিজের মত রেণ্ডারিং করা যায়।

প্রথম সপ্তাহে আমার এসাইন্মেন্টঃ